একজোট: ভারাভারা রাওদের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ। রয়েছেন (বাঁ দিক থেকে) দেবেশ রায়, শঙ্খ ঘোষ এবং তরুণ মজুমদার। রবিবার শিশির মঞ্চে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
ভারাভারা রাওদের মতো বিশিষ্ট জন ও সমাজকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে সরব হয়েছে নাগরিক সমাজ। বলা হচ্ছে, যা ঘটছে, তা ‘ফ্যাসিবাদে’রই প্রকাশ। রবিবার শিশির মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে প্রতিবাদ জানালেন শহরের বিদ্বজ্জনেরা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শঙ্খ ঘোষ, দেবেশ রায়, তরুণ মজুমদার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, চন্দন সেন প্রমুখ। মঞ্চে না উঠলেও সভায় হাজির থেকে প্রতিবাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন শঙ্খবাবু। প্রসঙ্গত, আগেই এই ঘটনাকে ‘ফ্যাসিবাদ’ বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন তিনি।
নাট্যকর্মী কৌশিক সেন এ দিনের সভায় বলেন, ‘‘প্রতিবাদ করার সময়েও আমরা প্রেক্ষিত বিচার করছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে একত্রিত হতে হবে। ছোট ছোট পরিসরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।’’ রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের কথাতেও একই স্বর অনুরণিত হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ফ্যাসিবাদীদের মতো আক্রমণাত্মক যেন আমরা না হই। মানুষ যেন আমাদের ভয় না পান।’’ দেশ জুড়ে এক ‘ব্যাপক’ ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। সভায় বারংবার সেই কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
সভার শেষে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। যেখানে সই করেন উপস্থিত প্রায় সকলেই। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ‘ফ্যাসিবাদ-বিরোধী’ সেই ‘প্রতিবাদপত্র’ পাঠিয়ে দেওয়া হবে।