সিআইডি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে, এটি কোনও ক্লান্তি বা বিষণ্ণতা দূর করার গেম নয়। এটি আত্মহত্যার প্রবেশ পথ মাত্র।
কী ভাবে বুঝবেন আপনার শিশু ব্লু হোয়েল গেমে আসক্ত হচ্ছে? তার কয়েকটি লক্ষণ ব্যাখ্যা করছে সিআইডি।
যে সব কিশোর-কিশোরী ব্লু হোয়েল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে, তারা নিজেরদেরকে লুকিয়ে রাখে সব সময়। স্বাভাবিক আচরণ করে না।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক বেশি ক্ষণ কাটায় তারা। চুপচাপ থাকে সব সময়। কখনও আবার অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। একটা সময়ের পর নিজের শরীরকে ক্ষত বিক্ষত করে তুলতে থাকে তারা।
ব্লু হোয়েলে আসক্ত হলে কী ভাবে প্রতিকার পাওয়া যায়, তারও কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সিআইডি।
তাদের মতে, আপনার বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করুন। তাদের অসুবিধার কথা বোঝার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি মনোবিদের কাছে পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
রাশিয়াতে উত্পত্তি হলেও এখন বহু দেশই শিকার এই ব্লু হোয়েল গেমের। এই গেম বিভিন্ন নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেমন- আ সাইলেন্ট হাইজ, আ সি অব হোয়েলস, ওয়েক মি আপ অ্যাট ৪.২০।
এই গেমের নিয়ম অনুযায়ী ৫০ দিনে ৫০টি টাস্ক থাকে। প্রথম দিকে এই গেমের কিছু সহজ টাস্ক থাকে। কিউরেটরের নির্দেশ অনুযায়ী, গান শোনা, ভোর ৪টে ২০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে ভূতের সিনেমা দেখা ইত্যাদি কাজ করতে হবে। ২৭ তম দিনে হাত কেটে ব্লু হোয়েলের ছবি আঁকতে হয়। ৫০ তম দিনে আত্মহত্যার মাধ্যমে এই গেমের সমাপ্তি হয়।
এক বার এই গেম খেললে কিউরেটরের দেওয়া সব কটি নির্দেশ মানা ‘বাধ্যতামূলক’। গেম থেকে বেরোলে ঘনিষ্ঠজনদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। বেরিয়ে আসার ইচ্ছে থাকলেও এই ধরণের ব্ল্যাকমেলিংযের চাপে অনেককেই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়।