শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
তিন বছর আগের একটি মামলার সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের কাছ থেকে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে চিঠি দিল সিআইডি। ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত শুভেন্দু যত বার মুর্শিদাবাদে গিয়েছেন, প্রতি বার তাঁর নিরাপত্তার জন্য যে এসকর্ট দেওয়া হয়েছিল, তার বিস্তারিত তথ্য সিআইডি চেয়েছে। যে মামলার সূত্রে সিআইডির এই চিঠি, তাতে ইতিমধ্যে সঞ্জয় মালিক ও জেনারুল শেখনামে দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। জেনারুলের বাড়ি মুর্শিদাবাদেই। ধৃতদের দু’জনের বিরুদ্ধেই গরু পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
এই গোটা সময়টাই শুভেন্দুবাবু তৃণমূলে ছিলেন। মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের পর্যবেক্ষকও ছিলেন। শুভেন্দু এই ঘটনার পরে শনিবার সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘তৃণমূলের পতাকা প্রথম আমার হাত দিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় উড়তে শুরু করে। বাকিটা ইতিহাস। এখন পিসি ভাইপোর কোম্পানির দলদাস সিআইডিকে দিয়ে সেই জেলায় আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক সভাপতি খলিলুর রহমানের বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। তবে সিআইডির কাজ সিআইডি করবে, এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আর জেলায় তৃণমূলের পতাকা তিনিই উড়িয়েছেন বলে শুভেন্দুবাবু যে দাবি করেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ ও অনুপ্রেরণাতেই জেলায় দল বড় হয়েছে।’’
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের বর্তমান চেয়ারম্যান সাংসদ আবু তাহের খানেরও বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের হয়ে মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব পাওয়ার পরে শুভেন্দুবাবু বরং একাধিক অন্যায় করেছেন। তাই তাঁর মুখে এ সব মানায় না।’’ তবে এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের বর্তমান পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।