Child Trafficking Racket

সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে পৌঁছতেন পাচারকারীরা! চক্র নিয়ে দাবি সিআইডির

সোমবার সিআইডির তরফে জানানো হল, শিশু পাচারের অভিযোগের মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এক দিন আগে দুই অভিযুক্ত ধরা পড়েছেন। সব খতিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১০
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সমাজমাধ্যম মারফত চলত শিশু পাচার চক্র। প্রথমে নিঃসন্তান দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হত সমাজমাধ্যমের দৌলতে। তার পর তাঁদের নম্বর নিয়ে ফোনের মাধ্যমে কথাবার্তা বলা হত। শালিমার স্টেশন থেকে শিশু পাচারের অভিযোগে মানিক হালদার এবং মুকুল সরকার নামে দু’জনকে গ্রেফতারের এক দিন পরে এমনটাই দাবি করল রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।

Advertisement

সোমবার সিআইডির তরফে জানানো হল, শিশু পাচারের অভিযোগের মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এক দিন আগে দুই অভিযুক্ত ধরা পড়েছেন। সব খতিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত। সিআইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমাজমাধ্যম মারফত চলত শিশু পাচারের প্রক্রিয়া। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘সেই সূত্র ধরে আমরাও তথ্য পেয়েছি। তবে এর থেকে বেশি কিছু এখনও আমরা জানতে পারিনি।’’ সিআইডির ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে নিঃসন্তান দম্পতির খোঁজ করতেন পাচারকারীরা। সমাজমাধ্যমেই চলত তথ্য বিনিময়ের কাজ। সেখান থেকে দম্পতির ফোন নম্বর নিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হত শিশু।

শালিমার স্টেশনে ধৃত মুকুল এবং মানিকের কাছ থেকে দু’দিন বয়সি একটি শিশুও উদ্ধার করেন সিআইডি আধিকারিকেরা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটিকে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে রফা করেছিলেন ধৃতেরা। সিআইডির দুই আধিকারিক ‘নকল’ দম্পতি সেজে যোগাযোগ করেছিলেন ওই পাচারকারীদের সঙ্গে। রবিবার হাওড়ার শালিমার স্টেশনে শিশুটিকে নিয়ে দুরন্ত এক্সপ্রেস থেকে নামতেই মানিক-মুকুলকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন সিআইডি আধিকারিকেরা। তাঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছেন। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গয়া থেকে ওই শিশুকন্যাকে এনেছিলেন তাঁরা। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে শিশুকল্যাণ কমিটির মাধ্যমে হাওড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Advertisement

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মানিকের বয়স ৩৮ বছর। মুকুলের বয়স ৩২। তাঁরা কলকাতার ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও শিশু পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই চক্রে আর কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছেন সিআইডি আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement