ভারতীর লকারে চোখ গোয়েন্দার

দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভারতী ঘোষ ও তাঁর স্বামীর নামে তিনটি লকার রয়েছে। ওই তিনটি লকার খুলতে ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৯
Share:

ভারতী ঘোষ।

আদালতের অনুমতি মিলেছে। দাসপুর থানার সোনা লুঠ ও আর্থিক তছরুপের মামলায় এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের ব্যাঙ্ক লকার খতিয়ে দেখতে চাইছেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যেই দাসপুর থানায় রুজু হওয়া সোনা প্রতারণায় মামলায় বেলদা থানার প্রাক্তন
ওসি প্রদীপ রথকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভারতী ঘোষ ও তাঁর স্বামীর নামে তিনটি লকার রয়েছে। ওই তিনটি লকার খুলতে ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। লকার খোলার জন্য সিআইডি-র তরফে ঘাটাল মহকুমা আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করেছে বলে জানান সিআইডি-কর্তারা।

সিআইডি-র চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষের তরফে ভারতীর আইনজীবীকে সোমবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের উপস্থিতে লকার খুলতে হয়। ভারতী এখন আছেন ভিন্‌ রাজ্যে। সেই জন্য ব্যাঙ্কের তরফে ভারতীর আইনজীবীকে জানানো হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তের স্বামী এমএভি রাজু যেন লকার খোলার সময়ে উপস্থিত থাকেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: রেহাই রাজুর, ভারতীর গাড়ির চালক আটক

ভারতীর দাবি, ওই লকারে তাঁর বিয়ের যৌতুকের ৯২০ গ্রাম গয়না রয়েছে। ‘‘আমি জমিদার পরিবারের মেয়ে। ১৯৯৪ সালে বিয়ে হয়েছে। তার পর থেকেই ওই গয়না রয়েছে লকারে। এখন সিআইডি-কে দিয়ে ওই গয়নাও লুঠ করানো হচ্ছে। ওই গয়নার বিষয়ে আয়কর দফতর ও রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা দেওয়া হয়েছে। ওই গয়নার বাজারদর প্রায় তিন কোটি টাকা,’’ বলছেন ভারতী। তাঁর আইনজীবী পিনাকী ভট্টচার্য জানান, ভারতী কলকাতায় নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ওঁর স্বামী নেতাজিনগর থানা এলাকা ছাড়তে পারবেন না। ভারতীর ছেলে বিদেশে পড়াশোনা করেন। সব কিছুই ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষকে ই-মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছি।

দাসপুর থানায় রুজু হওয়া সোনা প্রতারণায় মামলায় এ দিন সকাল থেকে দফায় দফায় জেরার পরে বেলদা থানার প্রাক্তন ওসি প্রদীপ রথকে গ্রেফতার করা হয়। সোনা-মামলায় ভারতীর নাম জড়ানোর পরে সিআইডি অভিযানের শুরুতেই ওই পুলিশকর্তার কোয়ার্টারে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তল্লাশিতে বেশ কিছু সোনা উদ্ধার হয়।

তল্লাশির আগেই অবশ্য মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয় প্রদীপকে। নোটবন্দির সময়ে তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতীর নেতৃত্বে পুরনো নোট সোনায় বিনিয়োগের ঢালাও কারবার চলেছিল বলে অভিযোগ। তাতে প্রদীপও জড়িত বলে এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রদীপ তখন ছিলেন দাসপুর থানার ওসি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement