প্রতীকী ছবি।
বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ফোনে কথা বলা যাবে লোকাল ফোনের কলের খরচে। কল সেন্টার খুলে এমনই বেআইনি কারবার দিব্যি চলছিল চন্দননগরের জনবহুল এলাকায়। সোমবার রাতে ওই ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে এক বাংলাদেশি-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু ভুয়ো পাসপোর্ট, সিমকার্ড ও সিমবক্স। ডিএসপি (সিআইডি) অনিমেষ ঘটক বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে আন্তর্জাতিক কলকে লোকাল কলে পরিণত করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হত। জঙ্গি সংগঠনের যোগসাজসের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফ্ল্যাটটি সিল করা হয়েছে।’’
রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের বেনেপুকুর চাঁদনি এলাকার একটি নবনির্মিত আবাসনের তিনতলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিলেন পিন্টু দাস। স্থানীয় পাদ্রিপাড়ার বাসিন্দা পিন্টুর আরও একটি কল সেন্টার রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ফ্ল্যাটের মালিক নীলাঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, সাত মাস আগে তিন বছরের জন্য মাসিক ৭৫০০ টাকার চুক্তিতে ফ্ল্যাটটি ভা়ড়া দিয়েছিলেন। কিছুদিন পর থেকেই পিন্টু সেখানে কল সেন্টার খোলার তোড়জোড় শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে, পিন্টুর সঙ্গী ছিলেন মহম্মদ সরোবর জাহান নামে বাংলাদেশি এক নাগরিক। গত বৃহস্পতিবারও সেখানে কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে।
পিন্টু, সরোবর জাহান এবং দাদপুরের আশিস পাল, চুঁচুড়ার বাসিন্দা শুভেন্দু ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার চন্দননগর আদালতে ধৃতদের ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার ক্রাইম শাখার কাছে অভিযোগ এসেছিল আগেই। রবিবার রাতে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা দেখতে এসেছিলেন সরোবর জাহান। গোপন সূত্রে সে খবর পেয়েই সিআইডি হানা দেয়। সিআইডি সূত্রের খবর, ধৃতেরা বিদেশি সফট্ওয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ছাড়াও ব্রিটেন, মালয়েশিয়া–সহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ফোন করা যেত কম খরচে। কল সেন্টারের রোজগার হত প্রতি মিনিটে ৫৬ পয়সা।