মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
রাজ্যের মূল প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জেলার সব অতিরিক্ত জেলাশাসককেই (এডিএম) ধারণা রাখতে হবে। শনিবার রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, এই নির্দেশের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সভায় থাকা খাবারের ব্যাপারে প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় রান্না করা খাবার প্যাকেটে পুরে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সেই খাবার নিয়ে কিছু অভিযোগ পৌঁছেছে নবান্নে। তার ভিত্তিতেই এই নির্দেশ বলে মনে করছেন প্রশাসনের অনেকে। রান্না করা খাবারের বদলে শুকনো প্যাকেটজাত খাবার দেওয়া যায় কি না, তাও ভেবে দেখতে বলেছে নবান্ন।
যে কোনও জেলায় জেলাশাসকের অধীনে সাধারণত চার-পাঁচজন করে এডিএম থাকেন। তাঁদের মধ্যে কেউ দেখেন জেলা পরিষদ, আবার কারও ভূমি বা উন্নয়ন বিষয়ক দায়িত্ব থাকে। তাই সরকারি সব প্রকল্প নিয়ে সবার সম্যক ধারণা থাকে না। কিন্তু এ দিন সেই ‘রীতি’ বদলাতে বলেছেন মুখ্যসচিব। এই নির্দেশ নিয়ে প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, রাজ্য স্তরের কোনও যাচাই বা কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় এডিএম-রাই দায়িত্ব নিয়ে প্রতিনিধি দলকে বোঝান। সেখানে সব প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা না-থাকলে রাজ্যের ব্যাপারে ইতিবাচক ছবি তৈরি করে না। বরং বিভ্রান্তির জন্ম দেয়। তাই এই পদক্ষেপ। অনেকের ধারণা, এ বার হয় তো জেলার এলাকা ভাগ করে হয়ত মূল প্রকল্পগুলির উপর নজরদারির দায়িত্ব এক-একজন এডিএম-কে দেওয়া হতে পারে।
সূত্রের খবর, এ দিন বৈঠকে কৃষি পরিকাঠামো তহবিল, সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে কৃষি সেচ প্রকল্পের সমন্বয়, ‘ফার্মার্স প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন’-গুলির (এফপিও) সঙ্গে সম্পর্কিত দফতরগুলির সমন্বয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের ‘মেধাশ্রী’ বৃত্তি প্রকল্পে নথিবদ্ধ করার কাজ দ্রুত সারতে বলা হয়েছে। ১৫ মার্চের মধ্যে শিক্ষাশ্রী বৃত্তি প্রকল্পে উপভোক্তাদের যাচাই শেষ করা, ক্ষুদ্র সেচ পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজের দ্রুত বাস্তবায়নের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। শিল্পতালুকগুলির জমি, বাজেটে ঘোষিত ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের প্রস্তুতি সারতে বলেছে নবান্ন। প্রায় ১১,৫০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে নেওয়া ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্প এবং পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অর্থে হওয়া কাজগুলি দ্রুত শেষ করতেও জোর দেওয়া হয়েছে।