মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন, সেই স্কুল এ বার ইংরেজি মাধ্যম হচ্ছে। প্রতীকী ছবি
এক সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষকতা করতেন এই স্কুলে। এ বার ভবানীপুরের সেই বিদ্যালয়কে নতুন রূপ দিতে চলেছে শিক্ষা দফতর। সরকারি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ইংরেজি মাধ্যম হতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর। নিজের রাজনৈতিক জীবনের শুরুর সময়ে ভবানীপুরের মন্মথনাথ নন্দন বয়েজ অ্যান্ড গার্লস স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত কলকাতা পুরসভার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই সরকারি প্রাথমিক স্কুলটি একটি ভাড়া বাড়িতে চলত। সম্প্রতি এলাকাবাসী জানতে পারে, বাড়ির মালিক স্কুলবাড়িটি ভেঙে এক প্রোমোটারের হাতে তুলে দিতে চাইছেন। তাঁদের মধ্যে আলোচনাও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।
স্কুলবাড়ি ভেঙে প্রোমোটিং করার কথা জানতে পেরে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বাবলু সিংহ। ঘটনাচক্রে স্থানীয় কাউন্সিলর পাপিয়া সিংহ তাঁর স্ত্রী। ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতার কাছে কাউন্সিলর আবেদন করেন, মন্মথনাথ নন্দন বয়েজ অ্যান্ড গার্লস স্কুলটি যেন কোনও ভাবেই বন্ধ না হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করার পাশাপাশি শিক্ষা দফতরেও চিঠি দেন পাপিয়া। তারপরেই প্রশাসনিক পদক্ষেপ শুরু হয়। সেই পর্যায়েই সম্প্রতি স্কুলের জমিটি হাতে পেয়েছে রাজ্য সরকার।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, তাদের উদ্যোগেই স্কুলটিকে নতুন চেহারা দেওয়া হবে। প্রাথমিক স্কুলটিতে ইংরেজি মাধ্যমে পঠন-পাঠন শুরু করা হবে। গত বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়া শীতলামাতা মন্দিরের পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এসে মন্মথনাথ নন্দন বয়েজ অ্যান্ড গার্লস স্কুল প্রসঙ্গে খোঁজখবর নেন এবং স্মৃতিচারণাও করেন তিনি।
মন্মথনাথ নন্দন বয়েজ অ্যান্ড গার্লস স্কুল ইংরেজি মাধ্যমে পরিণত হওয়ার এলাকাবাসী খুশি বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা বাবলু। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে ৪২টি বস্তি রয়েছে। অনেক টাকা খরচ করে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সন্তানদের পড়ানোর মতো সামর্থ্য নেই এখানকার বেশির ভাগ বসিন্দার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর শিক্ষকতা করে যাওয়া স্কুলটি যখন ইংরজি মাধ্যম স্কুল হবে বলে এলাকাবাসী জানলেন, তাঁরা খুব খুশি হয়েছেন। কারণ বিনামূল্যে তাঁরাও এ বার ছেলেমেয়েদের ইংরেজি ইস্কুলে পড়াতে পারবেন।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।