—ফাইল চিত্র।
এখনও বামেদের মধ্যে যাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের তৃণমূলে আসার আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দে সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, ‘‘এখনও যে ৭-৮% বাম ভোটার রয়ে গিয়েছেন, তাঁরা কিন্তু অন্য দলকে ভোট দেননি। তাঁদের বলব ভোট নষ্ট না করে তৃণমূলে আসুন। আপনাদের পুরো ব্যাপারটাই আমি দেখে নেব।’’ এই সঙ্গেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ প্রকাশ করে মমতা বলেন, ‘‘বুদ্ধবাবু বিজেপিকে সমর্থন করেন না। সিপিএমের নেতাদের বলব বিজেপির বিরুদ্ধে কী ভাবে লড়বেন, তা নিয়ে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে আলোচনা করুন।’’
এ বার লোকসভা ভোটে বাম-ভোট অনেকটাই এ গেরুয়া-শিবিরে চলে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। তা সত্ত্বেও প্রায় ৮% ভোট পেয়েছে বামেরা। বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে এই ৮% বাম-ভোটারকে ‘প্রকৃত বামপন্থী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন মমতা। তাঁর বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে এই ভোটারদেরই পাশে পেতে চাইছেন মমতা।
পাশাপাশি কংগ্রেস প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিজেপি কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়ার কথা বলেছে। কিন্তু তৃণমূল তো কার্যত রাজ্যকে কংগ্রেস-মুক্ত করে ফেলেছে! জবাবে মমতা বলেন, ‘‘ওঁরা তো এখনও কংগ্রেসেই আছেন।’’ এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা মমতা দেননি। তবে অনেকের ব্যাখ্যা, যে সব কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন, খাতায়-কলমে তাঁরা কংগ্রেসেই আছেন বলে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দলবিরোধী আইন ‘স্পিকারের এক্তিয়ারে’ বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান মমতা।
তাঁর ক্ষমতায় আসার অন্যতম সোপান সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গও স্বতঃপ্রণোদিত এ দিন টেনে মমতা বলেন, ‘‘সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম নিয়ে বুদ্ধবাবুর উপর রাগ ছিল আমার। কিন্তু আমার আর সে ক্ষোভ নেই। ওঁর সঙ্গে কথা বলে এসেছি।’’
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বাংলায় বিজেপিকে ডেকে আনা এবং তাদের উত্থানের জন্য দায়ী উনিই (মমতা)। বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুদ্ধবাবু ও তাঁর সহকর্মীরা বরাবর লড়াই করেছেন এবং করবেন।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।