মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
কাঠের চোরাচালান রুখতে গিয়ে বাধা পেয়ে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। তাতে অসম-মেঘালয় সীমানায় ৬ জন মারা যান। বুধবার এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে একটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “মেঘালয়ের মুখরোতে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিল, সে ঘটনার জন্য গভীর ভাবে শোকাহত।” নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি অশান্ত এলাকায় যাতে দ্রুত শান্তি ফিরে আসে, তার জন্যও প্রার্থনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাতেই এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করেছিলেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
কাঠ চোরাচালান হচ্ছে, গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ মেঘালয় সীমানায় একটি কাঠবোঝাই ট্রাক আটকায় অসমের বন দফতর। ট্রাক নিয়ে চালক পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালান বনকর্মীরা। ট্রাকের টায়ার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। ট্রাকের চালক, খালাসি এবং আরও এক জন আটক হন। বাকিরা অবশ্য পালিয়ে যান।
স্থানীয় জিরিকেনডিং থানায় খবর দেন বনকর্মীরা। পুলিশ যতক্ষণে সেখানে পৌঁছয়, ততক্ষণে ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোর পাঁচটা নাগাদ মেঘালয়ের কিছু বাসিন্দা দা হাতে এসে চড়াও হন। আটকদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে বনকর্মী এবং পুলিশকর্মীদের ঘেরাও করেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। এই ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ৩ জন খাসি সম্প্রদায়ের। তালিকায় ১ জন বনকর্মীও রয়েছেন। এর পরেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যোরহাটের অসম-মেঘালয় সীমানায় গাড়ি আটকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। গুজব আটকাতে বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।