সোমবার নবান্ন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভবানীপুরে নিজের পাড়ার একটি মন্দিরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
ভবানীপুরে নিজের বিধানসভা এলাকার একটি মন্দিরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভবানীপুরে নিজের পাড়ার একটি মন্দিরে যান তিনি। সেখানে গিয়ে মন্দিরের পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। জানতে চান মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিত্য পুজো প্রসঙ্গে। তারপর অংশ নেন সন্ধ্যার পুজোয়। সন্ধ্যা আরতির সময় শাঁখ বাজিয়ে পুজোয় অংশ নেন। পরে সন্ধ্যারতির প্রদীপ নিয়ে আরতি করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে পুজোর মুহূর্তের ছবি নিজের সমাজমাধ্যমের মঞ্চগুলিতেও ভাগ করে নেন তিনি। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘আজ, আমি ভবানীপুরের শীতলা দেবী মন্দিরে বিনীত প্রার্থনা করেছি। সকলের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে, আমি আমাদের সকল ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টার জন্য দিক নির্দেশনা, শক্তি প্রদানের জন্য আশীর্বাদ চেয়েছি।’’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সর্বশক্তিমানের ঐশ্বরিক আশীর্বাদে আমাদের সততা, সংহতি এবং প্রজ্ঞার পথে নিয়ে যেতে পারে। আমরা যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারি এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধকে বজায় রাখতে পারি। জয় বাংলা।’’ এই প্রথমবার নয়, এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে এই শীতলা মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। তাই এই ঘটনায় কোনও অতিরিক্ত বিষয় খুঁজে পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। তা ছাড়া প্রতি বছর শীতলা পুজোর সময় এই মন্দিরে নিয়ম করে ডালা পাঠান মমতা। সোমবার মন্দিরে পুজো ও সন্ধ্যারতি শেষ হলে কালীঘাটের বাসভবনে ফিরে যান মুখ্যমন্ত্রী।