কলকাতার ইসকনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ছবি: পিটিআই।
কলকাতার ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্য কলকাতার অ্যালবার্ট রোডের ইসকন মন্দির থেকে প্রতি বছরই রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। প্রতি বারের মতো এ বারও তার উদ্বোধন করলেন মমতা। রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। ইসকনে পুজোও দেন। এর পরেই রথযাত্রায় অংশ নেন তিনি।
ইসকনে পুজো দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আদ্যাপীঠের কায়দায় একটা বড় মন্দির আলিপুরদুয়ারে হচ্ছে। সেই মন্দির উদ্বোধন করার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাকে। তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলায় আমরা সব ধর্ম নিয়ে মেতে থাকি। জগন্নাথদেবও আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। বাংলার অর্ধেক লোককে আজ আপনারা পুরীতে জগন্নাথ দর্শনে দেখতে পাবেন।’’ আগামী বছর থেকে দিঘাতেও পুরীর মতো করে রথযাত্রার আয়োজন করা হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার ফের তিনি বলেন, ‘‘আগামী বছর একেবারে পুরীর মতো দিঘাতেও রথযাত্রা হবে। কিছু কাজ বাকি আছে মন্দিরের। মন্দির উদ্বোধন হলেই রথযাত্রা হবে। আপনাদের সকলকে আগাম আমন্ত্রণ রইল। মন্দির উদ্বোধন আপনারা আসবেন। উপলব্ধি করবেন, কী ভাবে এত তাড়াতাড়ি এই কাজটা আমরা করলাম!’’
রবিবার রথযাত্রা। পুরী-সহ গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই উৎসব পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর নতুন করে রথ তৈরি হয় পুরীতে। জগন্নাথের রথ নন্দীঘোষ, বলরামের রথ তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলন। এই তিন রথে চড়ে পার্শ্বদেবতা, চারটি ঘোড়া এবং সারথিদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা পাড়ি দেন গুণ্ডিচা মন্দির অর্থাৎ মাসির বাড়িতে। দাদা বলরাম এবং বোন সুভদ্রার সঙ্গে গোটা একটি সপ্তাহ উৎসব পালন করেন পতিতপাবন। একই ভাবে কলকাতার ইসকনেও রথযাত্রার আয়োজন হয় প্রতি বছর। অ্যালবার্ট রোডে ইসকন মন্দিরের উল্টো দিকে হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিট থেকে মাসির বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন জগন্নাথ-বলভদ্র-সুভদ্রা। শেষ হয় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে, অর্থাৎ মাসির বাড়িতে। সেখানে সাত দিন দর্শনার্থীদের দেখার জন্য রাখা হয়। উল্টো রথে ফের একই পথে ওই হাঙ্গারফোর্ড রোডে ইসকনের মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন দেবতাকে।