Sandeshkhali Incident

‘আইন আইনের পথে চলুক’, সন্দেশখালিতে ‘ক্রমাগত যাতায়াতে’ ভাল-মন্দ নিয়ে সংশয়ে প্রধান বিচারপতি

সন্দেশখালিতে বিরোধীদের যেতে হচ্ছে না বলে লাগাতার অভিযোগ করে চলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সন্দেশখালিতে যাওয়ার কর্মসূচি থাকলেই ১৪৪ ধারা জারি করে আটকে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:০৩
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সন্দেশখালিতে বিরোধীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে চলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সন্দেশখালিতে যাওয়ার কর্মসূচি থাকলেই ১৪৪ ধারা জারি করে আটকে দেওয়া হচ্ছে। এ দিকে, শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা অবাধে সেখানে যাচ্ছেন। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে বিষয়টি উত্থাপিত হলে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সন্দেশখালিতে যাওয়াতে ভাল ও খারাপ দুই-ই হতে পারে জানিয়ে আইনকে আইনের পথেই চলতে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।

Advertisement

প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হচ্ছে সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলাগুলির। সোমবারের শুনানিতে একাধিক বিষয়ে শুনানি হয়। তাতে শাহজাহান শেখের গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা নেই বলে যেমন মন্তব্য করেছেন বিচারপতিরা, তেমনই সন্দেশখালিতে পুলিশ প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে ভর্ৎসনা করেছেন রাজ্য প্রশাসনকে। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে ক্রমাগত যাতায়াত নিয়ে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘ক্রমাগত মানুষ ওখানে যাচ্ছেন। এর ফলে ভালও হতে পারে, আবার খারাপও হতে পারে।’’ এর পরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আইনকে আইনের পথে চলতে দেওয়া উচিত।’’

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে বিরোধীদের বাধাদান প্রসঙ্গে বারেবারেই রাজ্যের যুক্তি ছিল, দ্বীপ এলাকার পরিস্থিতি বুঝে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেল! তা নিশ্চিত করতেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে যেতে বাধা হবে না বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। সোমবার হাই কোর্টও কার্যত সেই কথাই বলল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement