ছত্রধর মাহাতো। ফাইল চিত্র
খুনের মামলায় বিচারকের নির্দেশে শুক্রবার ঝাড়গ্রাম থেকে আদালত চত্বরে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এজলাসে ঢুকলেন না একদা জনগণের কমিটি এবং অধুনা তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো। কারণ, তাঁর জ্বর হয়েছিল। জ্বরের ‘জুজু’ দেখিয়ে সাংবাদিকদেরও ধারেকাছে ঘেঁষতে দেননি তিনি। তবে আদালত চত্বরে এবং আশপাশের রাস্তার ইতিউতি ঘুরতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ছত্রধরের আইনজীবী কৌশিক সিংহ জানান, আদালত চত্বরে আসার পরে ছত্রধরের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তবে রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে আইনজীবী জানান।
ছত্রধর এজলাসে না-ঢুকলেও বিচারভবনে এনআইএ-র বিশেষ আদালতে শুনানি হয়েছে এ দিন। সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতোর খুনের ঘটনায় ছত্রধর-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এনআইএ-র কৌঁসুলি শ্যামল ঘোষ জানান, ওই মামলায় ইউএপিএ (আনলফুল অ্যাকটিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট) ধারা যুক্ত করার আবেদন করা হয়েছে। সব শুনানি সোমবার হবে। ছত্রধরের আইনজীবীর বক্তব্য, “এনআইএ-র নতুন আবেদন আমরা জানতাম না। সেটাই আদালতকে জানিয়েছি।”
এগারো বছর আগে জঙ্গলমহলে খুন হয়েছিলেন সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো। সেই পুরনো মামলা খুঁড়ে নতুন ভাবে মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। এনআইএ সূত্রের খবর, ওই মামলায় ছত্রধর-সহ মোট ৩০ জনকে এ দিন হাজির হতে বলেছিলেন বিচারক। বাকি অভিযুক্তেরা অবশ্য হাজিরা দিয়েছেন। এ দিন ছত্রধর-সহ পাঁচ জন অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদনও জানিয়েছেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা।