ভোট শেষ হওয়ার পর প্রার্থীদেরই ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা। বিষয়টিতে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অব ডক্টরস’। ভোট শেষ হওয়ার পর প্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। মেডিক্যাল কাউন্সিলের বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য সল্টলেকের দফতরে হয়েছে ভোট গ্রহণ। মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে সেই পর্ব। বুধবার থেকে শুরু হবে ভোট গণনা। এর মধ্যেই এই ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে তৈরি হল উত্তেজনা। যদিও তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় গোলমালের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
সল্টলেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের দফতরে ভোট ঘিরে উত্তেজনা। —নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অব ডক্টরস’ অভিযোগ, ভোট চলার সময় এক ব্যক্তি প্রায় ৫০০ ব্যালট নিয়ে এসেছিলেন। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড’ লেখা খামে ছিল সেই সব ব্যালট। ওই ব্যক্তিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিরোধী এই সংগঠনের সদস্যেরা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তিনি যে আবার ফিরে আসবেন না, তার কী নিশ্চয়তা রয়েছে? ওই সংগঠনের আরও অভিযোগ, গণনার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তৃণমূলপন্থীদের পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নেতারাও রয়েছেন। ভোট শেষ হওয়ার পর প্রার্থীদেরই ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এর পর গেট ধরে ঝাঁকাতে থাকেন বিরোধী সংগঠনের সংদস্যেরা। নাম না করে শাসক দলের সংগঠনের দিকেই আঙুল বিরোধীদের। ওই সংগঠনের সদস্য চিকিৎসক অর্জুন দাস স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘কারও না কারও অঙ্গুলি হেলনেই হচ্ছে। পিছনে শাসকপন্থীদের হাত থাকার বড় সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা যে, ভিতরে কিছু একটা চলছে। পুরোটা বুঝতে পারছি না।’’
বিরোধী সংগঠনের তরফে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ডাকঘরের অসমর্থিত সূত্রে রিটার্ন ব্যালট (যেগুলি ডাক্তারদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু না পেয়ে ফেরত এসেছে)-এর সংখ্যা ২০,০০০। কাউন্সিলের সূত্র বলছে, রিটার্ন ব্যালটের সংখ্যা ১৫,০০০। ৫,০০০ রিটার্ন ব্যালটের গরমিল নিয়েই আশঙ্কা বিরোধীদের।
এ সব অভিযোগ মানেননি শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত। তাঁর কথায়, ‘‘বড়সড় গোলমালের খবর নেই। কয়েক হাজার ভোটার রয়েছেন। জেলা থেকে ব্যালট আসা শুরু হয়েছে। আশা করি, আমরা যাঁরা তৃণমূলের প্যানেলে দাঁড়িয়েছি, সকলেই জয়ী হব।’’