রাজভবন-নবান্ন দ্বন্দ্ব মিটে গেলে ৭ মার্চ রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হতে পারে এ বারের বাজেট অধিবেশন। আর ১১ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর সরকার বাজেট পেশ করবেন। বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশন নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বাজেট বক্তৃতা দিতে পারেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র
রাজভবন ও নবান্নের দড়ি টানাটানিতে এখনও আটকে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন আগামী ৭ মার্চ বাজেট অধিবেশন ধরেই এগোচ্ছে। এ বার বাজেট পেশ করতে পারেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। গত বছর বিধানসভা ভোট থাকায় জোড়া বাজেট পেশ করেছিল রাজ্য সরকার। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ থাকায় ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতার অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তৃতীয় বার সরকার গঠনের পর আবারও বাজেট পেশ করা হয়। ভোটে না দাঁড়ালেও অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন অমিত। কিন্তু অসুস্থতার কারণে বিধানসভায় বাজেট বক্তৃতা না দিতে এলে বাজেট ভাষণ পড়েছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ভোটে না দাঁড়ানোয় অমিতকে সরে যেতে হয়েছে অর্থ দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে। নিজের কাঁধেই অর্থ দফতরের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন মমতা। সঙ্গে দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। তাই প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, তাঁকেই এ বার বাজেট বক্তৃতার দায়িত্ব দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। চন্দ্রিমা অবশ্য এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, চন্দ্রিমা বর্তমানে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন। সেই ক্ষমতা বলেই তাঁকে বাজেট বক্তৃতা পাঠের দায়িত্ব দিতেই পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজভবন-নবান্ন দ্বন্দ্ব মিটে গেলে ৭ মার্চ রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হতে পারে এ বারের বাজেট অধিবেশন। আর ১১ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর সরকার বাজেট পেশ করবেন। বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশন নিয়ে আলোচনা করতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রশাসনিক আধিকারিকদের আশা, বাজেট অধিবেশন নিয়ে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একমত হবে রাজভবন-নবান্ন। আর তারপরেই উত্তর দমদমের বিধায়ককে বাজেট বক্তৃতা করতে দেখা যেতেই পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ।