bharati ghosh

ভারতীকে নিরপরাধ বলছেন সেই চন্দন মাজি! মামলা সিআইডি-র বিরুদ্ধে

একুশে জুলাইয়ের ঠিক আগের দিনই সিআইডি-র বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার পর নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমন কী হল যে, চন্দনকে সিআডি-র বিরুদ্ধে সরব হতে হল? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ২১:১৯
Share:

প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ।-নিজস্ব চিত্র।

তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই দাসপুরের তোলাবাজি মামলায় সিআইডি তদন্ত হচ্ছে। চার্জশিটে নাম উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের নাম। সেই তিনিই এখন বলছেন, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা তাঁকে গোপন জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছেন। শুধু তাই নয়, ভারতীকেই এখন নিরাপরাধ বলছেন দাসপুরের সেই ব্যবসায়ী চন্দন মাজি।

Advertisement

একুশে জুলাইয়ের ঠিক আগের দিনই সিআইডি-র বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার পর নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমন কী হল যে, চন্দনকে সিআডি-র বিরুদ্ধে সরব হতে হল? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি। ভারতী ঘোষ এখনও ফেরার। সম্প্রতি তাঁর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল মুম্বইয়ের পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরেও পালিয়ে য়ায়। ভারতী-সুজিত ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে ভারতীর স্বামী এমএভি রাজু এবং চার পুলিশ আধিকারিক-সহ ছ’জনের।

Advertisement

আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের কলকাতা ভাসতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিতে

আরও পড়ুন: এই পরিচারিকার গাড়ি রয়েছে, ২৫ লাখের গয়নাও, কী ভাবে জানেন?

গত ফেব্রুয়ারিতে বারতীর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশির পর থেকে তাঁকে নিয়ে সিআইডির সক্রিয়তা কমতে থাকে বলে অভিযোগ। সিআইডি ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে না পারায় ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ছ’জনই জামিন পেয়েছেন।

দাসপুরের ব্যবসায়ী চন্দনের অভিযোগের ভিত্তিতেই ভারতীদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির ওই মামলা শুরু করে মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। পরে সিআইডি মামলা হাতে নেয়। চন্দনের গোপন জবানবন্দির উপর ভিত্তি করেই চার্জশিটে ভারতী এব‌ং সুজিত মণ্ডলকে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৪, ৩৮৫, ৩৮৯ (তোলাবাজি), ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১(জালিয়াতি) ১১৯, ৪০৩ এব‌ং ১২০(বি) ধারায় এবং দুর্নীতি দমন আইনে।

ভারতীর মাদুরদহের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর দামি মদ, একাধিক সম্পত্তির নথি ছাড়াও মিলেছিল নগদ প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অভিযুক্ত দুই পুলিশ আধিকারিক শুভঙ্কর দে এ‌বং চিত্তরঞ্জন পালের কাছে পাওয়া গিয়েছিল নগদ ৬০ লাখ টাকা। তার ক’দিন পরেই সিআইডি আধিকারিকরা দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে ভারতীর একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে উদ্ধার করে দু’কোটি টাকা। সেই চন্দনই অবশেষে ভারতীকে নির্দোষ বলছেন! সিআইডির ভূমিকার দিকে আঙুল তুলে মামলা করছেন! কারণটা এখনও স্পষ্ট নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement