রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় পাশ হওয়া পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিলটি তিনি সই না-করে ফেলে রাখায় মঙ্গলবারই রাজভবনের হলফনামা চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ওই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলির কাজে গতি আনতে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
আচার্য হিসাবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালন পদ্ধতিকে সরল ও গতিশীল করার জন্য বোস যে নয়া কর্মসূচি কথা জানিয়েছেন, তার নাম ‘স্পিড প্রোগ্রাম’। মঙ্গলবার রাতে রাজভবন থেকে প্রকাশিত ওই নির্দেশিকায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ২৫টি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, বকেয়া কাজগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেষ করার জন্য একটি পরামর্শদাতা কমিটি গড়ার কথাও জানিয়েছেন আচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজের মূল্যায়নের জন্য রাজভবনে একটি ‘রিয়েলটাইম মনিটরিং সেল’ও স্থাপন করা হয়েছে। উপাচার্যেরা যে কোনও সময় আচার্য বোসের ওই মনিটরিং সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। দিনের ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে ওই টেলিফোন নম্বর (০৩৩-২২০০১৬৪২) পাশাপাশি ই-মেলে (aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com) অভিযোগ জানাতে পারা যাবে ওই মনিটরিং সেলকে।
চলতি মাসের গোড়ায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নতুন উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরু করতে সার্চ কমিটি গঠন করার কথা ঘোষণা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল। এ বারও তাঁর সিদ্ধান্তে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।