রণং দেহি। সুকন্যার অনুষ্ঠানে শুক্রবার, নজরুল মঞ্চে। — নিজস্ব চিত্র
পুলিশ হতে চাইলে এ বার থেকে ‘সুকন্যা’রা অগ্রাধিকার পাবেন। শুক্রবার নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর এবং কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা ঘোষণা করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে বলেছি এই সুকন্যাদের মধ্যে যাঁরা ভবিষ্যতে পুলিশে যোগ দিতে চান, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০১৪ সালে ‘সুকন্যা’ নামের প্রকল্পের সূচনা হয়। প্রকল্পের উদ্দেশ্য স্কুল ও কলেজের মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত করে তোলা। প্রথম বছরে কলকাতার ৩২টি স্কুল ও কলেজের মেয়েদের এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হলেও বর্তমানে ৫০টি স্কুল-কলেজের প্রায় আড়াই হাজারের উপর ছাত্রীরা প্রশিক্ষণ নেন। মূলত ক্যারাটে, তাইকোণ্ড, কিক-বক্সিংয়ের মতো মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ানো হয়। কলকাতা পুলিশ এবং অভিজ্ঞ ট্রেনাররা এই প্রশিক্ষণ দেন।
তবে তিন বছর ধরে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও এই বছর প্রথম বিশ্ব ‘কিক-বক্সিং’ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে চলেছে পাঁচ সুকন্যা। এটি চলতি বছরেই রাশিয়ায় হবে। এ রাজ্য থেকে যাচ্ছেন ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ের সহিষ্ণুতা সিংহ, টাকি গার্লস স্কুলের অনুষ্কা নাথ, সেন্ট থমাসের আলিশা খান, শুড়াকন্যার দীপান্বিতা রায় এবং বেহালা কলেজের প্রিয়া দাস।