প্রতীকী ছবি।
পড়ুয়াদের বাবা-মায়ের বক্তব্য জেনে নিয়ে সোমবারের (২০ জুলাই) মধ্যেই দিল্লিকে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, এ দিন পর্যন্ত এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে এমন কোনও নির্দেশিকা আসেনি। কেন্দ্রের বক্তব্য, করোনা অতিমারির মধ্যে স্কুল কবে খোলা যায়, সেই বিষয়ে তারা মতামত জানতে চায় অভিভাবকদের।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের স্কুলশিক্ষা এবং সাক্ষরতা বিভাগের তরফে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষাসচিবদের কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে: অতিমারির প্রভাবে শ্রেণিকক্ষের পঠনপাঠন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এই অবস্থায় অভিভাবকেরা স্কুল খোলার বিষয়ে কী ভাবছেন, তাঁদের কাছ থেকে সেটা জেনে নিয়ে কেন্দ্রকে জানানো হোক। বাবা-মায়েরা অগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে কোন মাসে স্কুল খোলার পক্ষে, সুস্পষ্ট ভাবে তা জেনে নেওয়া চাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে অভিভাবকেরা স্কুলের কাছে ঠিক কী প্রত্যাশা করেন, সেই তথ্যও জেনে নিতে হবে। এই প্রসঙ্গে অভিভাবকদের যদি আর কোনও বক্তব্য থাকে, তা-ও কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সোমবারের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিকাশ ভবনের বক্তব্য, অভিভাবকদের বক্তব্য জানা বা জানানো তো দূরের কথা, রাজ্যের কাছে এমন কোনও নির্দেশই আসেনি!
মার্চের শেষ দিকে সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তার পরে করোনাভাইরাসের দাপট উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় রাজ্যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যায়নি। অভিভাবকদের মতামত জানতে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার বিষয়ে বিকাশ ভবনের আধিকারিকদের প্রশ্ন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মায়ের বক্তব্য সংগ্রহ করা হবে কী ভাবে? প্রত্যন্ত গ্রামের অভিভাবকদের কাছে গিয়ে তাঁদের মতামত জেনে নেওয়া এক কথায় অসম্ভব। বিকাশ ভবনের কারও কারও বক্তব্য, রাজ্যের কাছে এই সব তথ্য না-চেয়ে কেন্দ্রীয় স্কুলগুলি খোলার ক্ষেত্রে দিল্লি কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেটাই বরং রাজ্য সরকারগুলিকে জানানো হোক।
কেন্দ্রীয় স্কুলগুলির অভিভাবকদের সংগঠনের সদস্যদের একাংশের বক্তব্য, অতিমারির এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার প্রশ্নই ওঠে না।
এ দিকে, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক আজ, মঙ্গলবার চালু করতে চলেছেন ‘মনোদর্পণ’। করোনার জন্য পড়ুয়াদের মনের উপরে যে-বিপুল চাপ পড়ছে, তা কমানোর জন্যই এই উদ্যোগ।