প্রতীকী ছবি।
এ বার চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশে জানানো হয়েছে, চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু যন্ত্র এ বার ‘ড্রাগ রেগুলেশন’-এর আওতায় চলে আসবে।
গত ২৮ ডিসেম্বর এই নির্দেশিকা জারি করে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল জানিয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই এই বিধি কার্যকর হবে। নেবুলাইজ়ার, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, ডিজিটাল থার্মোমিটার, গ্লুকোমিটার—এই চারটি যন্ত্রকে ‘ড্রাগ রেগুলেশন’-এর আওতায় আনা হয়েছে। সূত্রের খবর, এত দিন পর্যন্ত ওই সমস্ত যন্ত্রের উপরে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। কিছু নির্দেশিকা মেনেই সেগুলি তৈরি ও বিপণনের কাজ করত প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।
‘ইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর কেন্দ্রীয় কমিটি (রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন)-র সদস্য অরিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই সমস্ত যন্ত্রের উপরে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকাটা খুবই জরুরি। এর ফলে যন্ত্রের গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ওই সব যন্ত্রের ভুল ফলাফলের কারণে সমস্যা তৈরি হলে তার দায় নেওয়ার কেউ নেই। সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকলে সেই সমস্যাও মিটবে।’’
সূত্রের খবর, ওই সমস্ত যন্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে কী কী মাপকাঠি মেনে চলতে হবে, সরকারি নিয়ন্ত্রণ কমিটিই তা ঠিক করে দেবে। এর ফলে যন্ত্রের গুণগত মান ঠিক রাখার ব্যাপারে আরও অনেক সজাগ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে। আবার বিপণনের ক্ষেত্রে কালোবাজারিও বন্ধ করা সম্ভব হবে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ওই সমস্ত যন্ত্র তৈরির জন্য যেমন কেন্দ্রের ছাড়পত্র নিতে হবে, তেমনই বিপণনের জন্য নিতে হবে রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র।
সূত্রের খবর, আগামী দিনে চিকিৎসায় ব্যবহৃত আরও কিছু যন্ত্রের উপরে এমন নিয়ন্ত্রণ চালু হতে পারে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কয়েক মাস আগে কিছু পাল্স অক্সিমিটারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ, ওই যন্ত্রের ভিতরে পেনসিল বা কলম রাখা হলে সেটিরও অক্সিজেনের মাত্রা দেখাচ্ছিল স্ক্রিনে। যা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, যন্ত্রটিতে সমস্যা রয়েছে। তাই চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন যন্ত্রের উপরে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি বলেই মত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।