— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া মহানন্দা অভয়ারণ্যে প্রায় ৫৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘ইকো-সেনসেটিভ জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি সূত্রের খবর, গত ৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্রকের তরফে এই সম্পর্কিত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী দু’মাস পরে এটি আইনে পরিণত হলে, তার পরে ওই এলাকায় নতুন করে কোনও নির্মাণ, গাছ কাটা, পর্যটনকেন্দ্রিক প্রকল্প, শিল্প, জলাশয়ের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
এই নির্দেশিকাকে প্রশাসনিক ভাবে আপাতত খসড়়া বিজ্ঞপ্তি হিসাবে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৬০ দিনে দেশের যে কেউ, কোনও সংস্থা, ব্যক্তি বা দফতর এই নিয়ে তাঁদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি জানাতে পারেন। প্রয়োজনে তা সরকার খতিয়ে দেখবে। দু’মাস পর স্বাভাবিক নিয়মেই আইনে পরিণত হয়ে সরকারি নিয়ম-নিষেধাজ্ঞা চালু হয়ে যাবে। এর পরে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বন, পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন, নির্দেশিকা ওই ৫৪০ বর্গকিলোমিটারে জুড়ে জারি হয়ে যাবে। এর ফলে সুকনা, দাগাপুর এলাকার মতো চা বাগানের ভিতর রিসর্ট বা বহুতল আবাসন নতুন করে আর তৈরি করা যাবে না। তেমনই, এই এলাকার আওতাধীন তিস্তা বা অন্য কোথাও নতুন করে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হবে না। নষ্ট করা যাবে না, পাহাড়, জঙ্গল, নদী বা প্রাকৃতিক সম্পদকে। এটাই স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, ‘‘কেন্দ্রের তরফে মহানন্দা অভয়ারণ্যের বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্তরের মতামত, পরামর্শ নিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি হয়ে যাবে।’’ বন দফতর এবং প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি শহরের অদূরেই মহানন্দা অভয়ারণ্য। সুকনা থেকে কার্শিয়াং, পানিঘাটা হয়ে সিটং, কালিঝোরা থেকে সেবক হয়ে শালুগাড়ার মধ্যে বনাঞ্চলটি বিস্তৃত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই অভয়ারণ্য হাতি, বাঘ, বিভিন্ন হরিণের মতো বহু বন্যপ্রাণের বাস এই বনাঞ্চল। তাই এই অঞ্চলকে ‘ইকো-সেনসেটিভ জ়োন’ করেই আগামীর জন্য রক্ষা করতে হবে।