উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী কয়েক দিনের মধ্যেই

কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুর সদরে ২৭০টি করে বুথ রয়েছে। করিমপুরে ২৬১টি বুথ। তিন বিধানসভা কেন্দ্র মিলিয়ে ৮০১টি বুথে ভোট দেবেন ভোটারেরা।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:২৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুর সদর এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব শেষের আগেই আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে তেমনই খবর।

Advertisement

তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য বুধবারই ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আজ, বৃহস্পতিবার তা পরীক্ষার (স্ক্রুটিনি) দিন। আগামী সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগে তিন বিধানসভা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যাওয়ার কথা। উপনির্বাচন হবে ২৫ নভেম্বর।

কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুর সদরে ২৭০টি করে বুথ রয়েছে। করিমপুরে ২৬১টি বুথ। তিন বিধানসভা কেন্দ্র মিলিয়ে ৮০১টি বুথে ভোট দেবেন ভোটারেরা। তবে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতির সম্ভাবনা অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছে কমিশন সূত্র। জন্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির কারণে সেখানে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের মন বুঝতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি

একই সঙ্গে আগামী ৩০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচনের জন্য সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। যে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না, সেখানে নিরাপত্তা সামলাবে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ। দশ কোম্পানির বেশি বাহিনী আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ কমিশন। এক কর্তার কথায়, ‘‘উপ বা পূর্ণাঙ্গ—সব নির্বাচনই সমান গুরুত্বপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে কমিশন প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে।’’

কালিয়াগঞ্জের ২৭০টি বুথের মধ্যে ১২১টি বুথ একক প্রেমিসেস (সিঙ্গল প্রেমিসেস)। করিমপুরে সংখ্যা অনেকটাই কম। খড়্গপুর সদরে তা ৪০টির নীচে। প্রশাসনের একাংশের মতে যে বিধানসভা বা লোকসভায় একক প্রেমিসেস থাকে, তাতে গোলমালের আশঙ্কা কিছুটা বেশি থাকে। উত্তর দিনাজপুরের নির্বাচনে গোলমালের ইতিহাস রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী, কালিয়াগঞ্জে গোলমাল পাকিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়া সুবিধাজনক। প্রায় একই পরিস্থিতি বাংলাদেশ লাগোয়া করিমপুরে। বিধানসভাটি নদিয়া হলেও সেখানে মুর্শিদাবাদের প্রভাব অনেকাংশে বেশি। এই সব কারণে কমিশনের একাংশের মতে, ওই দুই বিধানসভা তুলনামূলক ভাবে খড়্গপুর সদরের তুলনায় বেশি স্পর্শকাতর। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, খড়্গপুর সদরে নির্বাচনে গোলমালের ঘটনার সংখ্যা নেহাতই কম। অতীতের ঘটনা এবং বর্তমানের স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ‘স্ট্র্যাটেজি’ বা কৌশল তৈরি করে নির্বাচন পর্ব শান্তিপূর্ণ করতে চাইছে কমিশন। এক কর্তার কথায়, ‘‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

বুধবার তিন বিধানসভায় এলাকায় পৌঁছচ্ছেন তিন পুলিশ পর্যবেক্ষক। সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসাবে কালিয়াগঞ্জে আসার কথা ছিল রাজেন্দ্রপ্রতাপ সিংহের। তাঁর পরিবর্তে আসছেন পি বসন্ত কুমার। করিমপুরে অলকা শ্রীবাস্তবের পরিবর্তে সাধারণ পর্যবেক্ষক হচ্ছেন সুভাষকুমার দ্বিবেদী। খড়্গপুর সদরে সাধারণ পর্যবেক্ষক জি টি পাণ্ড্য। কমিশনের নিয়মানুসারে, সাধারণ পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে স্ক্রুটিনি হয়। তাই, বৃহস্পতিবার তিন বিধানসভা কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়ার কথা তিন সাধারণ পর্যবেক্ষকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement