—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ৩৫টি আসন জেতার লক্ষ্যে ‘মিশন বেঙ্গল’ কর্মসূচি হাতে নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আগামী শনিবার রাজ্যে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। অগস্টে রাজ্যে যাওয়ার কথা রয়েছে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহদেরও। সূত্রের মতে, লোকসভার আগে রাজ্য বিজেপিতে সাংগঠনিক পর্যায়ে বেশ কিছু রদবদলের কথাও ভাবছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
গত সোম-মঙ্গলবার অমিত শাহ ও জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারেরা। বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে লোকসভার প্রস্তুতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। রাজ্য বিজেপি সূত্রের মতে, সংগঠন মজবুত করতে ও কর্মীদের চাঙ্গা করতে লোকসভা পর্যন্ত প্রায় দু’হাজার সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে দল। পাশাপাশি ‘তৃণমূল-আশ্রিত’ দুষ্কৃতীদের হুমকি, মারধর সত্ত্বেও যে বিজেপি কর্মীরা শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রথম সভাটি হুগলির খানাকুলে করার কথা ভাবা হয়েছে। সূত্রের মতে, ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন অনুরাগ। সারদা দেবীর জন্মভিটে জয়রামবাটিতে যেতে পারেন তিনি।
লোকসভার আগে রাজ্য বিজেপিতে রদবদলের জল্পনা ছিলই। প্রথমে আরএসএস ও পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দু-সুকান্তের পরপর দু’দিন বৈঠকের পরে বিষয়টি আরও গতি পায়। রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার দাবি, খুব শীঘ্রই শীর্ষ পর্যায়ে রদবদল হতে পারে। যদিও রদবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্তই। জল্পনা রয়েছে সুকান্তকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা নিয়েও। যদিও তাঁর জবাব, ‘‘আমি তো এমন কোনও প্রস্তাব পাইনি।’’
সংসদ চলাকালীন প্রতি বারই রাজ্যভিত্তিক দলীয় সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা ‘ইন্ডিয়া’ জোট গড়ার পরে এ যাত্রায় এনডিএ সাংসদদের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। ওই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামী ৩১ জুলাই। প্রথম দিনেই ডাক পড়েছে বাংলার সাংসদদের। ওই দিন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশের এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে দেখা করে লোকসভার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনায় বসবেন মোদী। বিজেপি সূত্রের মতে, এনডিএ-র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ী ও জে পি নড্ডাকে।