প্রতীকী ছবি
অগস্টের শেষেই আসতে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ, জানিয়েছে আইসিএমআর। এই অবস্থায় রাজ্যে বকরি ইদ পালনে ‘সচেতন’ থাকার বার্তা দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, একদিনের জমায়েতও কোভিড সংক্রমণের গতি বাড়াতে পারে।
রাজ্যে কোভিড মোকাবিলায় গঠিত ‘গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড’-এর সদস্য চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বকরি ইদে বিপুল জনসমাগম হলে তা থেকে কোভিড ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। একই সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে পুজোয় ছাড় দিলেও। কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যে ইতিমধ্যেই বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ছাড়া দিলেও এখন লোকাল ট্রেন চালানো-সহ কিছু বিষয়ে কড়াকড়ি চলছে। সেই পরিস্থিতিতেই চিকিৎসক কুণাল সরকারের নিদান, কোভিড সংক্রমণ রুখতে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধর্মীয় আবেগকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তবে চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ের মতে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা শুরু করতে হবে। তবে তিনিও কোভিড বিধি মেনেই উৎসব পালনের পক্ষে।
বকরি ইদ এর জন্য কেরল সরকারের তিন দিনের লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। বাংলায় কড়াকড়ি পুরো শিথিল না হলেও দেকানপাট খোলা রাখার সময়সীমা বেড়েছে। সম্প্রতি বাস চালু হয়েছে। সপ্তাহের পাঁচদিন চালু হয়েছে মেট্রোও। গত এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে সংক্রমণ ৮০০-র ঘরে ঘোরাফেরা করছে। তবে রবিবার কলকাতায় কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় ঢেউ আসার আগে আগামী ১০০দিন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সুকুমার। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছি। জুলাই, অগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাস রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের দিকে নজর দিতে হবে। এখন যে কোনও জমায়েত এড়িয়ে যেতে হবে।’’
কুণালের মতে, ‘‘এক সঙ্গে অনেকে একত্রিত হওয়ার ভয়ে পড়ুয়াদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। স্কুল বন্ধ। বড়দেরও রাজনৈতিক, ধর্মীয় আবেগ সরিয়ে রাখতে হবে। একাধিক প্রাণের খেসারত দিয়ে আমরা এই জায়গায় এসেছি। আগের মতো ইদ পালন করতে না পারলে দুঃখ হবে ঠিকই। কিন্তু সংযত থাকলে সবার ভালো হবে।’’ সরকারের করোনা মোকাবিলা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যতম চিকিৎসক তথা তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় তৈরি সরকারি কমিটির সদস্য যোগীরাজ অবশ্য মনে করছেন, ‘‘এখন কোভিড সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। নিম্নমুখীও বটে। কোভিড বিধি মেনে ইদের মতো উৎসব পালন করা যেতেই পারে। যদি সংক্রমণ বাড়ে, তা হলে তার জন্যও আমরা তৈরি আছি। জীবনকে এ ভাবে থামিয়ে রাখা যাবে না।’’