নিজাম প্যালেসে ব্রজেশ ঝা, অমিতাভ চক্রবর্তী, অক্ষয় সারেঙ্গি (বাঁ দিক থেকে)। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
টিভিতে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের বাইরে ম্যাথু স্যামুয়েল আর কারও ছবি লুকিয়ে তুলেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই।
সে কারণে, ম্যাথুর কাছ থেকে ‘অরিজিনাল’ বা কাঁচা ভিডিও ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের সন্দেহ, কোনও ‘বিশেষ’ কারণে অরিজিনাল ফুটেজ থেকে ‘এডিট’ করার সময়ে কিছু ছবি বাদ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। রবিবার ফোনে ম্যাথু বলেন, তাঁর দিল্লির বাড়িতে গিয়ে ওই অরিজিনাল ফুটেজ নিয়ে এসেছেন সিবিআই অফিসারেরা। এই ভিডিও ফুটেজেরও ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
সিবিআই সূত্রের খবর, ওই ভিডিও ফুটেজে মোট ১৪ জন নেতা-মন্ত্রী ও তাঁদের সহযোগীদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু দু’জন প্রথম সারির নেতার উল্লেখ থাকলেও, তাঁদের বা তাঁদের কোনও সহযোগীকে সরাসরি টাকা দেওয়ার ছবি দেখানো হয়নি। অথচ, ওই দু’জনের বাড়িতে ম্যাথু গিয়েছিলেন বলে দেখানো হয়েছে।
সিবিআই অফিসারদের মতে, ভিডিও ছবিতে তাঁর অফিসে গিয়ে টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছিল এক নেতাকে। কিন্তু, ভিডিওতে ওই নেতার অফিসে গিয়ে টাকা দেওয়ার কোনও দৃশ্য ছিল না। অফিসারদের প্রশ্ন, ওই নেতাকে কি তা হলে টাকা দেননি ম্যাথু? নাকি দিলেও তার ছবি তোলেননি? বা, তুলে থাকলেও কোনও কারণে প্রকাশ করেননি?
গোয়েন্দাদের সংযোজন, দ্বিতীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে তাঁর দুই আপ্ত-সহায়কের সঙ্গে কথা বলেই রেকর্ডিং শেষ করেছেন ম্যাথু। সে ক্ষেত্রেও কি টাকা দেওয়ার ছবি তিনি নেননি, না কি সেই ছবি পরে ছেঁটে দেওয়া হয়েছে? অফিসারদের কথায়, প্রথম তোলা ছবি থেকে ম্যাথু যদি কিছু ছবি বাদ দিয়ে থাকেন, সেটা কেন— তার জবাবদিহি করতে হবে ম্যাথুকে।
শনিবার হাইকোর্টের হেফাজত থেকে যে ভিডিও সিডি সিবিআই পেয়েছে, সেটি এডিট করা। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষার পরে শনিবারেই ম্যাথুকে ফোন করে সিবিআই।