তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা এবং নদিয়ার জেলা মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ইতি সরকার। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এ বার সিবিআই ডেকে পাঠাল তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারকে। নদিয়া জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইতি। তবে সেটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়। এলাকায় তিনি পরিচিত নদিয়া জেলার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ হিসাবেও। তাপসকে আগেই বেশ কয়েক বার নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাঁর বাড়িতে চালানো হয়েছে তল্লাশিও। বৃহস্পতিবার তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ইতিকেও সমন পাঠিয়েছে সিবিআই।
এর আগে গত শুক্রবারই তাপসকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। সেই দিন তাপসের কণ্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করে সিবিআই। তার সাত দিনের মধ্যেই তাপস-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেত্রীকে তলব করায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, নিয়োগ মামলায় কি তবে নতুন কোনও সূত্র হাতে এল সিবিআইয়ের।
উল্লেখ্য, এর আগে তাপসের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এসেছিল সিবিআই। ২০২৩ সালের এপ্রিলে সেই তল্লাশি অভিযান চলাকালীন তাপস-ঘনিষ্ঠ ইতির বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু’জনের বাড়ি থেকেই তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সিবিআই তল্লাশি অভিযানের পর ফিরে গেলে সেই আনন্দে তাপসের বাড়িতে মাংস-ভাতের ভোজও দেওয়া হয় তাঁর অনুগামীদের। ইতিও তখন বলেছিলেন, তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, ‘কাকু ফিরে আসবেন’। যদিও শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ তাপসের পিছু ছাড়েনি।
শুক্রবার তাপসের কণ্ঠস্বর পরীক্ষার পর এ বার তাপস-ঘনিষ্ঠ তথা নদিয়ার জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইতিকেও ডেকে পাঠালেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ইতি দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন সরকারি স্কুলে স্কুলের পোশাক সরবরাহের ব্যবসায় যুক্ত। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও করে থাকেন।