এ বার তলব রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে। —ফাইল চিত্র।
শোভন-অপরূপার পর এ বার শুভেন্দু-সুব্রত। সিবিআই সূত্রে খবর, সারদার পাশাপাশি নারদ তদন্তের জালও দ্রুত গোটাতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দিল্লির সদর দফতর থেকে নারদ মামলায় তদন্ত শেষ করে দ্রুত চার্জশিট দিতে বলা হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিককে। সিবিআই সূত্রে খবর, নারদ মামলায় নোটিস পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের। এর আগেও এই দু’জনকে নারদ মামলায় জেরা করেছে সিবিআই। অন্য দিকে, সিবিআই দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকেও।
তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, নারদ মামলার চার্জশিট দেওয়ার জন্য শেষ পর্যায়ের কিছু বয়ান রেকর্ড প্রয়োজন। সেই কারণেই ফের আর এক দফা এঁদের ডাকা হচ্ছে। যেমন, আরও এক দফা জেরা করা হয়েছে ম্যাথু স্যামুয়েলকেও। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লি সদর দফতর থেকে নারদ ছাড়াও, সারদা-রোজভ্যালি-সহ সমস্ত চিটফান্ড মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে সারদা মামলার তদন্তেও গত এক মাসে অনেকটাই গতি বেড়েছে। তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর টাকার লেনদেনের যোগাযোগ খুঁজতে জেরা করা হয়েছে ডেরেক ও’ব্রায়েন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীকে। অন্য দিকে, মামলার তদন্তের প্রয়োজনে বুধবার ফের বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও জেরা করা হয় বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই সূত্রে খবর, চিটফান্ড মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা এক ডিএসপি বুধবার সিবিআই সদর দফতরে কথা বলেন মুকুল রায়ের সঙ্গে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিবিআই সদর দফতরে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন মুকুল রায়। তবে কী কারণে গিয়েছিলেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। যদিও তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, মুকুল রায়কে তদন্তের জন্যই ডাকা হয়েছিল। সারদা সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: নারদ-কাণ্ডে তৎপর সিবিআই, তলব শোভন-অপরূপাকে
আরও পড়ুন: কমতে পারে মধ্যবিত্তের করের বোঝা, ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১০ শতাংশ হারে করের প্রস্তাব
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক শীর্ষ কর্তার ইঙ্গিত, এই পর্যায়ের জিজ্ঞাসাবাদ মিটলেই সারদা এবং রোজভ্যালি— এই দুই মামলার তদন্তে বড়সড় পদক্ষেপ করতে পারেন তাঁরা। তিনি বলেন, কয়েকটি জায়গায় তদন্ত আটকে ছিল। ‘জাগো বাংলা’র তহবিল সংক্রান্ত নথিপত্র থেকে এবং সংশ্লিষ্ট শাসকদলের নেতাদের জেরা করে বেশ কিছু অস্পষ্টতা দূর হয়েছে। এর পরেই ওই বয়ানের উপর ভিত্তি করে পরের পর্যায়ের তদন্ত শুরু হবে।