নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। — ফাইল ছবি।
‘কালীঘাটের কাকু’কে সিবিআই তলব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নোটিস পাঠানো হয়। বুধবার সকাল ১১টার একটু আগে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সুজয়ের দুই আইনজীবীও। দফতরে ঢোকার মুখে তিনি জানান, সকাল ১১টায় তাঁকে হাজির থাকার কথা বলেছিল সিবিআই। সেই তলবে সাড়া দিয়ে তিনি আইনজীবীকে নিয়ে পৌঁছন নিজাম প্যালেসে এসেছেন।
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের নজরে এ বার ‘কালীঘাটের কাকু’। তাঁকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিবিআই তলবের নোটিস পাঠানো হয়। তাতে লেখা ছিল, সকাল ১১টায় হাজির হতে হবে নিজ়াম প্যালেসের দফতরে। সেই অনুযায়ী সকাল ১১টার কিছু ক্ষণ আগেই দুই আইনজীবীকে নিয়ে সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান সুজয়। ঢোকার মুখে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সুজয় বলেন, ‘‘কাল সন্ধ্যাবেলা নোটিস পেয়েছি। বাড়িতে স্ত্রী অসুস্থ। তা-ও এসেছি। তার পরেও বলবে সহযোগিতা করছি না, আর কী বলব!’’
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় একাধিক অভিযুক্তের মুখে উঠে আসে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়ের নাম। তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষের মুখে তিনি কালীঘাটের কাকুর কথা শুনেছিলেন। তবে প্রথম বার গোপাল দলপতি সুজয়ের নাম করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কুন্তল ঘোষ বার বার কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই সুজয়কে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।