সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
সারদা তদন্তে এ বার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। দুপুর ২টো ১৫ নাগাদ সেখানে পৌঁছন পার্থবাবু।
প্রায় চারঘণ্টা সিবিআই দফতরে এ দিন কাটান তৃণমূল মহাসচিব। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বেরনোর পর তিনি বলেন,‘‘ সংগঠনের ব্যাপারে ডেকেছিল। কথাবার্তা হয়েছে। নাথিং সিরিয়াস।” অন্যদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, পার্থবাবুর কাছেও জাগো বাংলা সংক্রান্ত কিছু নথি চাওয়া হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, তৃণমূলের দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার কিছু আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে। এর আগে জাগো বাংলার অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে শীর্ষ তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি এবং দলীয় সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকেও।
সারদা চিটফাণ্ড তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, সারদা গোষ্ঠীর বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করতে গিয়ে তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যোগ উঠে আসে। তদন্তকারীদের দাবি, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে জাগো বাংলার যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টে কী ভাবে সারদার টাকা পৌঁছলো তা নিয়ে তাঁরা তদন্ত করছেন।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা, গ্রেফতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে
আরও পড়ুন: দিল্লি গেলেন সব্যসাচী, জোরদার দলবদলের জল্পনা
সেই কারণেই সেই সময় জাগো বাংলার প্রকাশনা, সম্পাদনা এবং পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবাইকেই জাগো বাংলার টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করছে সিবিআই। এর আগে সুব্রত বক্সি জাগো বাংলার আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি জমা দিয়েছিলেন। সেই নথি দেখেই তলব করা হয় ডেরেক ও ব্রায়েনকে। এঁরা প্রত্যেকেই ওই সংবাদপত্র পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা এখনও আছেন। ঠিক একই ভাবে নাম উঠে এসেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থবাবু ২০০৪ সাল থেকে জাগো বাংলার সম্পাদক। মাঝে কিছু দিন সৃঞ্জয় বসু দায়িত্বে ছিলেন। সৃঞ্জয় সরে যাওয়ার পর, পার্থবাবু ফের দায়িত্ব নেন।