ফাইল চিত্র।
শীতলখুচির গুলি কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশ বনাম কেন্দ্রীয় বাহিনীর চাপানউতোর এক বছর ধরে চলছে। এ বার কি সেই চাপানউতোরে সিবিআইও জুড়তে চলেছে? সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে ভোট-পরবর্তী মামলায় সিবিআইয়ের বক্তব্য নিয়ে এই জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ, শীতলখুচি কাণ্ডের তদন্তভার তারা নিতে চায় বলে কোর্টে জানিয়েছে সিবিআই।
সম্প্রতি ভোট-পরবর্তী মামলার শুনানিতে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই জানিয়েছে, শীতলখুচি গুলি কাণ্ডের তদন্ত তারা করতে চায় সিবিআই। এই মর্মে তিন দফায় রাজ্য পুলিশকে চিঠি দিয়েছে তারা। কিন্তু রাজ্যের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, সিবিআইয়ের চিঠির প্রতিলিপি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে (এজি) দিতে হবে। আগামী ১৯ মে মামলার পরবর্তী শুনানিতে এ ব্যাপারে রাজ্যের মতামত জানাবেন এজি।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাসে প্রথম শীতলখুচির তদন্তভার নিতে চেয়ে সিবিআই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠিয়েছিল। তার পর মার্চ মাসে ফের দু দফায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে রাজ্য পুলিশের অনেকের মতে, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনার সঙ্গে শীতলখুচির কোনও সম্পর্ক নেই। ১০ এপ্রিল, বিধানসভা ভোটের দিন ওই হাঙ্গামা হয়েছিল। সেই হাঙ্গামায় এক দিকে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অন্য দিকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। সিআইএসএফের গুলিতে মারা যান চার গ্রামবাসী। বাহিনীর তরফে গুলি চালানোর কথা স্বীকারও করা হয়েছে। বাহিনী এবং গ্রামবাসী, দু পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি মামলা হয়েথে মাথাভাঙা থানায়।
রাজ্য পুলিশের কর্তারা এও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ওই ঘটনায় সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তদন্ত করছে। তদন্তে অসহযোগিতা করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ। প্রাথমিক তদন্তে সিট জানতে পেরেছে যে এক স্থানীয় মহিলার প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল। ওই জওয়ানদের চিহ্নিত করার পরে তাঁদের তদন্তকারীদের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে। তিন বার তলব করা হলেও জওয়ানেরা হাজির হননি। তার পর মাথাভাঙা আদালতের অনুমতি নিয়ে সমন জারি করা হয়েছিল। সমনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই জওয়ানেরা। সেই মামলাটিও বিচারাধীন রয়েছে।