গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কয়লা-কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার দুর্গাপুর, রাণিগঞ্জ, আসানসোল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সল্টকেল-সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা।
কয়লা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এখনও বেপাত্তা। শনিবার লালার বাড়ি এবং অফিস-সহ রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে অভিযান চালানো হয়। আয়কর দফতর কয়লা পাচার-কাণ্ডে তদন্তে শুরু করার পর লালার নাম উঠে আসে। তার বিরুদ্ধে জিএসটি ফাঁকি দিয়ে বেআইনি ভাবে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। সল্টলেকে লালার বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। আর্থিক তছরুপের নথিপত্রও পাওয়া যায়। শেক্সপিয়র সরণির তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাট সিল করে নোটিস সেঁটে দেয় সিবিআই। লালার সিআইটি রোডের একটি অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়।
শনিবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শনিবার দুর্গাপুরের ইসিএল-এর কাজোরা এরিয়ার জিএমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়। সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার নিতুরিয়ার ভামুরিয়াতে সিবিআই-এর একটি দল শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ পৌঁছয়। সেখানকার বাসিন্দা তথা কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সিবিআই বা ওই ব্যবসায়ীর কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।
এর পরই আসরে নামে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা। তদন্তের অগ্রগতির পর জানা যায়, লালা এবং গরুপাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকের আঁতাঁত ছিল আগে থেকেই। কয়লা পাচারের সময় এনামুলের ‘সিন্ডিকেট’-এর সাহায্য নিত লালা। এ ভাবে মুর্শিদাবাদ থেকে উত্তরবঙ্গ-সহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও কয়লা পাচার চলত। তদন্তে জানা যায়, কয়লা-কাণ্ডের শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। শনিবার পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও কয়েকটি রাজ্যে চলছে সিবিআই অভিযান। রাজনৈতিক যোগও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রশাসনিক স্তরের একাংশের অফিসারদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতায় ধৃত চাটার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট গোবিন্দ আগরওয়ালের সঙ্গে লালা এবং অনুপের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে বিষটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সল্টলেকের এই বাড়িতেই হানা দেয় সিবিআই। নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে ২৯৪ কেন্দ্রের প্রার্থীই নিজে বাছবেন শাহ
আরও পড়ুন: খেজুরি উত্তপ্ত, তৃণমূলের ৬ অফিস ভাঙচুর, ‘দখল’ নিল বিজেপি