মুখোমুখি বসিয়ে প্রশ্ন কেডি-ম্যাথুকে

বুধবার দিল্লির সিবিআই দফতরে যেতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও। প্রায় তিন ঘণ্টা তিনি সেখানে ছিলেন। ঢুকেছিলেন ম্যাথু ও কেডি বেরিয়ে যাওয়ার পরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৫৩
Share:

কেডি সিংহ ও ম্যাথু স্যামুয়েল।—ফাইল চিত্র।

নারদ কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংহ ও ম্যাথু স্যামুয়েলকে মুখোমুখি বসিয়ে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ, দক্ষিণ কলকাতার এক সাংসদকে ফাঁসানোর জন্য কেডি তাঁকে স্টিং অপারেশন করতে বলেছিলেন বলে এ দিন সিবিআইকে জানিয়েছেন ম্যাথু।

Advertisement

বুধবার দিল্লির সিবিআই দফতরে যেতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও। প্রায় তিন ঘণ্টা তিনি সেখানে ছিলেন। ঢুকেছিলেন ম্যাথু ও কেডি বেরিয়ে যাওয়ার পরে। উল্লেখ্য, নারদে মুকুল অন্যতম অভিযুক্ত। মুকুলকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে থেকে গিয়েছিলাম। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেও তো কেউ যেতে পারেন। আমাকে নারদা নিয়ে জেরা করা হয়নি।’’ কার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন? উত্তর দেননি মুকুল। যদিও সিবিআই-এর একটি সূত্র জানাচ্ছে, নারদা কাণ্ডেই এ দিন মুকুলের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

এ দিন দিল্লিতে তহেলকার সংবাদ সংস্থার মালিক কেডি ও নারদ কাণ্ডের মূল চরিত্র ম্যাথুকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। যে সাংসদের কথা এ দিন ম্যাথু জানিয়েছেন, তাঁর ছবি অবশ্য নারদ কাণ্ডে কোথাও নেই।

Advertisement

ম্যাথুর দাবি, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় কেডি-র নির্দেশেই তিনি এ রাজ্যে স্টিং অপারেশন করেছিলেন। ম্যাথু তখন তহেলকার সম্পাদক ছিলেন। স্টিং অপারেশনের সময়ে নেতা-নেত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া প্রায় টাকাও কেডি-র অর্থলগ্নি সংস্থার কলকাতার দফতর থেকে তিনি পেয়েছিলেন বলেও ম্যাথুর দাবি। তাঁর দাবি, সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল প্রায় ১ কোটি টাকা।

সিবিআই সূত্রের খবর, নারদ কাণ্ডে একাধিকবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে কেডি-কে তলব করা হয়েছিল। তিনি আসেননি। নারদ কাণ্ডে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই বলে কেডি তখন ই-মেলে সিবিআইকে জানিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের দাবি, নগদ টাকার লেনদেনের বিষয়ে কেডি-র সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা, কলকাতায় কেডি-র অর্থলগ্নি সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া টাকার রসিদ ম্যাথু এ দিন দেখিয়েছেন।

সিবিআই সূত্রের খবর, কেডি-ই যে স্টিং অপারেশনের নির্দেশ দেন, সেই সংক্রান্ত মোবাইল বার্তাও এ দিন দেখিয়েছেন ম্যাথু। যার উত্তরে কেডি নাকি তদন্তকারীদের সামনে বলেছেন, এটা তাঁর মনে নেই।

স্টিং অপারেশন নিয়ে একাধিক বার ম্যাথু ও কেডি দুবাইতে বৈঠক করেছিলেন বলে আগেই তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছিল সিবিআইয়ের। এ দিন দু’জনের সামনে ওই সব তথ্যও পেশ করা হয়। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, ম্যাথুর পেশ করা সব তথ্য প্রমাণ যাচাই করা হবে। প্রয়োজনে ফের দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement