সারদার পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপনে নজর

সারদা গোষ্ঠীর ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২০১৩ সালে। তবে ওই গোষ্ঠী পরিচালিত একটি পত্রিকা আংশিক নাম বদলে এখনও চলছে। সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই সেই দৈনিক পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপনের হিসেবপত্র নিয়ে তৎপর হয়েছে সিবিআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৪
Share:

সারদা গোষ্ঠীর ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২০১৩ সালে। তবে ওই গোষ্ঠী পরিচালিত একটি পত্রিকা আংশিক নাম বদলে এখনও চলছে। সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই সেই দৈনিক পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপনের হিসেবপত্র নিয়ে তৎপর হয়েছে সিবিআই।

Advertisement

ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর, ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল সারদা পরিচালিত ‘দৈনিক কলম’ পত্রিকার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সেটি বেরোত সাপ্তাহিক হিসেবে। তদন্তকারীদের দাবি, সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন জেরায় তাঁদের জানান, তিনি ওই পত্রিকায় পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন।

তছরুপের জেরে ২০১৩ সালে সারদার ঝাঁপ পড়ে যাওয়ার পরে ‘পুবের কলম’ নাম দিয়ে সেই পত্রিকা চালু রাখা হয়েছে। পত্রিকার নাম আংশিক বদলালেও সরকারি রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী তার মালিক হিসেবে সুদীপ্তের নামই রয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীরা জানান, তৃণমূলের এক সাংসদ ওই পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। অভিযোগ, সুদীপ্ত জেলে যাওয়ার পরেও বেশ কয়েক কোটি টাকার সরকারি বিজ্ঞাপন এসেছে ওই পত্রিকায়।

Advertisement

সিবিআই জানাচ্ছে, সারদা বন্ধ হওয়ার পরেও কী ভাবে ওই পত্রিকায় সরকারি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে আগে ওই সাংসদকে জেরা করা হয়। তিনি বেশ কিছু নথিপত্র জমা দেন তদন্তকারীদের কাছে। সিবিআইয়ের হাতে ওই পত্রিকার বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এসেছে। সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে আসা টাকাও নয়ছয় করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি ওই পত্রিকার এক কর্মীকে জেরা করে পত্রিকার সব আর্থিক লেনদেনের নথি দু’সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের দফতরে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানান, ওই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মাধ্যমে ওই সব বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। ওই দফতর থেকে গত কয়েক আর্থিক বছরে কলম পত্রিকাকে বিজ্ঞাপন ছাপার জন্য কত টাকা দেওয়া হয়েছে, তার একটি হিসেব তাদের কাছে এসেছে বলেও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement