প্রতীকী ছবি।
কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের তিন কর্তা সহ ছয় জন পুলিশ অফিসারকে তলব করল সিবিআই।
ওই কান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত, শাসকদলের নেতা, পলাতক বিনয় মিশ্রকেও ফের তলবি নোটিস জারি করা হয়েছে। তাঁকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিনয়ের কালীঘাট ও চেতলার বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। তখন প্রথম তলবি নোটিস জারি করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর, বিনয় আসেননি। তাই, ফের নোটিস জারি করা হয়েছে।
গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। সিবিআইয়ের দাবি, এই কান্ডে রাজ্য পুলিশের কয়েক জন শীর্ষ কর্তা এবং নিচু তলার প্রায় ৪০ জন অফিসার জড়িত। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলা গরু পাচার চক্রের মূল ভরকেন্দ্র ছিল। যা শুরু হয় ২০১৫ সাল নাগাদ। ওই সময়ে রাজ্য পুলিশের যে দুই কর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক জন এখন রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের উচ্চ পদে রয়েছেন। অন্য জন রয়েছেন আসানসোল কমিশনারেটে। হুগলি জেলার এক প্রাক্তন শীর্ষকর্তাও পাচার চক্রে সক্রিয় ছিলেন বলে তদন্তকারীদের দাবি। বর্তমানে তিনি চন্দননগর কমিশনারেটের পদস্থ অফিসার।
সিবিআইয়ের দাবি, রাজ্য পুলিশ, বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের অফিসারদের নিয়ে গরু পাচার চক্র তৈরি করেছিল এনামুল। রাজ্যের কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদেরও নাম উঠে আসছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘ধাপে ধাপে রাজ্য পুলিশের বেশ কয়েক জন কর্তা সহ নিচু তলার পুলিশকর্মীদের তলব করা হবে।’’ প্রথম পর্যায়ে তিন জন আইপিএস অফিসার-সহ ছ'জনকে চলতি সপ্তাহে সিবিআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক সদর দফতর নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে।