Jafikul Islam

প্রচুর টাকা, সোনাদানা আর জমি! জাফিকুলের বাড়িতে কী কী পেল সিবিআই? কী বলছেন শাসক বিধায়ক?

তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল বাজেয়াপ্ত হওয়া অধিকাংশ সম্পত্তিরই বৈধ নথি দেখাতে পারেননি। এর জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই সূত্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

কী নেই তাঁর! জমি, বাড়ি, পেট্রল পাম্প, কলেজ, তিন-তিনটে ব্যবসা, নগদ টাকা আর বিপুল সোনাগয়না। ‘কুবেরের ধন’ বললেও অত্যুক্তি হওয়ার কথা নয়! মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে, নথিপত্র ঘেঁটে এত সম্পত্তিরই হদিস মিলেছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল বাজেয়াপ্ত হওয়া অধিকাংশ সম্পত্তিরই বৈধ নথি দেখাতে পারেননি। এর জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই সূত্র। যদিও জাফিকুল পাল্টা দাবি করেছেন, সমস্ত সম্পত্তিরই বৈধ নথি তাঁর কাছে রয়েছে।

Advertisement

সিবিআই সূত্রে দাবি, ডোমকল ব্লকের একাধিক মৌজায় জাফিকুলের জমির হদিস মিলেছে। তার দলিলও পাওয়া গিয়েছে। আর যে সব সম্পত্তি মিলেছে, তার মধ্যে রয়েছে— তেলের পাম্প, তিনটি পৃথক ব্যবসা, আত্মীয়দের ব্যবসায় বিনিয়োগ। এ ছাড়াও বিএড, ডিএলএড, প্যারামেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং মিলিয়ে ১৪টিরও বেশি কলেজ রয়েছে। তদন্তকারীদের ওই সূত্রেরই দাবি, বিধায়কের বাড়ি থেকে ১০০ ভরি সোনার গয়নাও মিলেছে। যার কোনও বৈধ কাগজ ছিল না। সেই কারণে গয়নাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা।

তদন্তকারীদের একাংশের মতে, বিধায়কের অধিকাংশ সম্পত্তিই হয়েছে ২০১৯ সালের পর। জাফিকুল খুব বুদ্ধি করেই সোনা ও জমিতে টাকা বিনিয়োগ করেছেন। যে কারণে যতটা আশা করা হয়েছিল, তত নগদ অর্থ উদ্ধার হয়নি তাঁর বাড়ি থেকে।

Advertisement

যদিও জাফিকুল আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘সমস্ত সম্পত্তির বৈধ নথি রয়েছে। আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সমস্ত তথ্য দিয়ে দেব। আমার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তদন্তে সব রকম ভাবে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement