বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
সিজিও কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার প্রায় দু’ঘণ্টা সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন তিনি। তার পর বাইরে বেরিয়েই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন সিপিএমের যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
বুধবার রাত থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানমঞ্চ থেকে প্যান্ডেলের বাঁশ খোলার ঘটনার উল্লেখ করে মিনাক্ষী বলেন, ‘‘শুনছি টেন্ট খোলা হচ্ছে। ডাক্তারবাবুদের উপর আক্রমণ হলে কেউ ছেড়ে দেবে না। মানুষই বুঝে নেবে।’’ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে মিনাক্ষী বলেন, “তদন্তে সহযোগিতা করতে ডেকেছিল। তাই এসেছি। নির্যাতিতা যাতে বিচার পান, তার জন্য সব রকম সাহায্য করব।” বেরোনোর পর তিনি জানান, যা প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার উত্তর তিনি দিয়েছেন।
সিপিএমের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এক জন ফোন করেছিলেন মিনাক্ষীকে। দলের তরফে সেই ব্যক্তির পরিচয় খতিয়ে দেখা হয়। সিবিআই আধিকারিকের পরিচয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হওয়ার পর মিনাক্ষী তদন্তকারী সংস্থাটির দফতরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিনাক্ষীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ থেকে কলকাতায় ফিরেছেন মিনাক্ষী। সকাল ১০টা নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশনে নামেন তিনি। সেখান থেকেই সরাসরি সিজিওতে যান তিনি।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে। সে দিনই হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মিনাক্ষী। মিনাক্ষীর দলের তরফে একাধিক বার দাবি করা হয়েছে যে, মূলত বাম যুবনেত্রীর চেষ্টাতেই নির্যাতিতার দেহ দ্রুত দাহ করতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। মিনাক্ষী পুলিশের গাড়ি আটকাচ্ছেন, এই ছবিও সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়। (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তবে মিনাক্ষী নিজে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, পুলিশ যাতে দ্রুত দেহ দাহ করে প্রমাণ লোপাট করতে না পারে, সে জন্য বাধা দিয়েছিলেন তাঁরা।
১১ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের বাইরে মিনাক্ষীর নেতৃত্বে অবস্থানে বসেন বাম যুব সংগঠনের সদস্যেরা। ১৪ অগস্ট রাতে একদল উন্মত্ত জনতা আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। আরজি করের ব্যারিকেড ভাঙার সময়ে সিপিএমের যুব সংগঠনের পতাকা দেখা যাচ্ছে এই রকম একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা দেখা গিয়েছে। (এই ভিডিয়োর সত্যতাও যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। এর আগে এই ভাঙচুরের ঘটনায় মিনাক্ষীকে নোটিস দিয়ে তলব করেছিল কলকাতা পুলিশ। গত ২৬ অগস্ট মিছিল করে লালবাজারে যান মিনাক্ষীরা। ভাঙচুরের ঘটনায় কারা জড়িত, পুলিশ তা জানে বলে অভিযোগ করেছিলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী।