‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের’ সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ। নিজস্ব চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসা, গরু পাচার-সহ বিভিন্ন মামলার সূত্রে শনিবার একাধিক ব্যক্তিকে দুর্গাপুরের সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। সিবিআই সূত্রের খবর, শনিবার মোট ৮ জনকে জেরা করা হয়েছে।
ঘন্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদের পর ফিরে এসে স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ী প্রাণবল্লভ দাস জানান, তদন্ত চলছে তাই এই বিষয়ে বেশি কিছু বলবেন না। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ধৃত দেহরক্ষী সাইগল হোসেনের নাম করায় তিনি বলেন, ‘‘ওটা খায় না মাথায় দেয় জানি না। এবং অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই।’’
সিউড়ি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক প্রফুল্ল চৌধুরী সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর জানান, তাঁর স্ত্রীর এক হোটেল আছে, সেখানে অনুব্রত থাকতেন। সেই হিসেবে যোগাযোগ আছে। দাঁইহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর সুদীপ্ত রায় ৪৫ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদের পর জানালেন, তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনুব্রতরে ফোনে ভোটের রেজাল্ট নিয়ে অভিনন্দন জানানোর জন্য ফোন করেছিলেন বলে! শনিবার সকালে দূর্গাপুর এনআইটি সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয় বীরভূমে ভোট পরবর্তী হিংসা-সহ বিভিন্ন কারণে।
পিএইচই ঠিকাদার দিলীপ ঘোষাল, বোলপুরের সরকারি কর্মী বিকাশ ভগত, বোলপুরের ব্যবসায়ী মানস ঘোষ পূর্ব বর্ধমানের মার্বেল ব্যবসায়ী আরও কয়েক জনকে। প্রায় সপ্তাহ দু’য়েক ধরে দুর্গাপুরে সিবিআই যে অস্থায়ী ক্যাম্প করেছে সেখানে বীরভূম জেলা ও পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন তৃণমূল নেতা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, পূজারি, ঠিকাদার, ঠিকাকর্মী, চিকিৎসক-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।