Coal Scam

Coal Scam: কয়লা নিয়ে নয়া দুর্নীতি, আদালতে সিবিআই

অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন দুই প্রাক্তন সিএমডি— ইসিএলের রাকেশ সিংহ এবং বিসিসিএলের টি কে লাহিড়ী।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

আসানসোল ও কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১ ০৬:০৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

ইসিএল ও বিসিসিএলের একাধিক খনিতে কয়লা তোলার কাজে যুক্ত বেসরকারি ঠিকা সংস্থাকে ঘুরপথে মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা শুরু করল সিবিআই। তবে এই মামলার সঙ্গে কয়লা পাচারের সাম্প্রতিক অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানান ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা।

Advertisement

এ বার অভিযোগ উঠেছে মূলত ওই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা সংস্থার ১০ জন প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন দুই প্রাক্তন সিএমডি— ইসিএলের রাকেশ সিংহ এবং বিসিসিএলের টি কে লাহিড়ী। অভিযুক্তদের নামে ধানবাদ আদালতে মামলা করেছে ঝাড়খণ্ড সিবিআইয়ের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।

ইসিএল সূত্রের খবর, সংস্থার পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর এরিয়ার মোহনপুর, কাজোড়ার জামবাদ, সোনপুর বাজারি প্রভৃতি খোলামুখ খনি এবং বিসিসিএলের চাঁচ ভিক্টোরিয়ার দামাগড়িয়া, গোবিন্দপুরের মহেশপুর ও ধনুডিহি খনিতে কয়লা তোলার জন্য একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে ঠিকা দেওয়া হয় ২০১২ সালে। অভিযোগ ওঠে, কয়লা কাটার কাজে যুক্ত শ্রমিক-কর্মীদের কম বেতন দিচ্ছিল ওই সব ঠিকা সংস্থা। শ্রমিক সংগঠনগুলি আন্দোলনে নামায় বিষয়টি আদালতে গড়ায়। পরে কয়লা মন্ত্রকের নির্দেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়া হয়।

Advertisement

ইসিএল সূত্রের খবর, ওই কমিটি তদন্ত করে জানতে পারে, শ্রমিকদের পুরনো হারেই বেতন দেওয়া হচ্ছে। তখন ঠিকা সংস্থাগুলিকে নতুন হারে বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিটি। কিন্তু ওই সব সংস্থা এই নির্দেশে বেঁকে বসে এবং কাজ গুটিয়ে নিয়ে চলে যায়। ফলে, দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় কয়লা উত্তোলন মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা তোলার কাজ যথাসময়ে শেষ করার চুক্তি অনুযায়ী ঠিকা সংস্থাগুলি ইসিএল ও বিসিসিএলের কাছে যে-অর্থ জমা দিয়েছিল, তা তাদের ফেরত দেওয়া হয়। এটা নিয়মবিরুদ্ধ বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, ওই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্তৃপক্ষ তার কয়েক মাস পরে নতুন করে দরপত্র ডেকে সেই পুরনো ঠিকা সংস্থাগুলিকেই কয়লা উত্তোলনের কাজে ফিরিয়ে আনেন বলে অভিযোগ।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তভার পায় সিবিআই। ইসিএলের একটি সূত্রের দাবি, তদন্তে সিবিআই জানতে পারে, পুরো বিষয়টিতে অবৈধ লেনদেন করা হয়েছে এবং তাতে ইসিএল ও বিসিসিএলের ক্ষতি হয়েছে কয়েকশো কোটি টাকা। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইসিএল এবং বিসিসিএলের প্রাক্তন দুই সিএমডি-সহ ১০ জন এবং বেসরকারি ঠিকা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ‘১২০বি’ ধারায় মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement