সিবিআই দফতরে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য দিলীপ হাজরা।— নিজস্ব চিত্র।
গত কয়েক দিনে ৮ ট্রাঙ্ক ভর্তি সারদার নথি জমা পড়েছে সিবিআই দফতরে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সারদার লাল ডায়েরি এবং পেন ড্রাইভ-এর সন্ধান মেলেনি বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে সারদার প্রথম তদন্তকারী অফিসার প্রভাকর নাথ, বিধাননগরের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষকে জেরা করা হয়ে গিয়েছে। এ বার রাজ্যের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হলেন বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর অন্যতম সদস্য দিলীপ হাজরা।
সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে নথিপত্র বাজেয়াপ্তের সময় হাজির ছিলেন দিলীপ হাজরা। ‘সিজার লিস্ট’ করার সময়েও তিনি ছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেই সময় সারদার লাল ডায়েরি এবং পেনড্রাইভ উদ্ধার হয়েছিল কি না? তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন কি না? তা জানতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সে কারণেই সোমবার তাঁকে তলব করা হয়।
এর আগেও দিলীপ হাজরাকে জেরা করা হয়েছিল, কিন্তু তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সিবিআই। শিলংয়ের পর কলকাতায় রাজীব কুমারকে জেরার আগে ফের এক বার রাজ্য পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা। সে কারণেই সারদার প্রথম তদন্তকারী অফিসার প্রভাকর নাথ, আরআই মোল্লা (যিনি গত সপ্তাহে ৮ ট্রাঙ্ক বোঝাই সারদার নথি সিবিআইকে দিয়েছেন। তবে কার নির্দেশে নথি জমা দিয়েছেন, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।), অর্ণব ঘোষ এবং দিলীপ হাজরাকেও জেরা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, রাম নয়, সমস্যা রাজনীতি, নিজের ‘জয় শ্রীরাম’ ক্ষোভের ব্যাখ্যা দিলেন মমতা
সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সামনে আসার সময় তাঁরা প্রত্যেকেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত ছিলেন। বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের অধীনে সারদা তদন্তেও কাজ করেছেন। ফলে নিচুতলার পুলিশকর্মীরা সেই সময় রাজীব কুমারের কাছ থেকে কী নির্দেশ পেতেন, তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, তা জানা এই তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সিবিআই।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)