কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযান তদন্তকারীদের। নিজস্ব চিত্র।
কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে শুক্রবার তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ঘটনাচক্রে, যে দিন বিকেলে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে সম্ভবত সর্ববৃহৎ অভিযানে নেমেছেন ইডি-সিবিআইয়ের অফিসাররা।
কলকাতা, দুর্গাপুর এবং আসানসোলে চলছে অভিযান। ওই সব এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বাড়িতে হানা দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। রাজ্য জুড়ে এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দিল্লি থেকে আসা অফিসাররা। কয়লা কাণ্ডে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সে কারণেই এই তল্লাশি বলে জানা যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। বাঁশদ্রোণীতে রণধীর কুমার বানেওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন অফিসাররা। বড়বাজার, ফুলবাগান, ধর্মতলা-সহ বিভিন্ন অফিসেও চলছে তল্লাশি। কয়লা পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন অফিসাররা। তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক দফা জেরাও করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের অফিসাররা। রুজিরার বোন মেনকা গম্ভীরকেও জেরা করা হয়েছে।
সিবিআই-এর একটি দল দিল্লি থেকে এসেছে কলকাতায়। প্রধানত তাঁদের নেতৃত্বেই অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দল। এর পাশাপাশি কয়লা কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টিও উঠে এসেছে। তার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কয়লা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি এখনও ফেরার। তাঁকে খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অন্য অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডলের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল তদন্তকারী দল। অনুপ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ী এই পাচার কাণ্ডে জড়িতে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ইসিএল, রেল এবং নিরাপত্তা সংস্থা সিআইএসএফ-এর বেশ কয়েকজন কর্মীও জড়িত বলে অভিযোগ। আগামী দিনে তাঁরাও জেরাও মুখে পড়তে পারেন বলে খবর।