দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ‘টেট’-এর ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষাটা কবে হবে, সেই ব্যাপারে ধোঁয়াশা থেকে গেল! টেটের নির্ঘণ্ট জানতে চাওয়া হলে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘সেটা পরে জানানো হবে।’’
এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠকে মানিকবাবু জানান, ২০১৪ সালে টাকা জমা দিয়েও যে-সব প্রার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি, তাঁরা এ দিন থেকেই অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। আর যাঁরা ২০১২ সালে টেটের অ্যাডমিট কার্ড পেয়েছিলেন, তাঁরা এ বছর পরীক্ষায় বসতে পারবেন সেটি দেখিয়েই। ওই অ্যাডমিট কার্ডে যে-পরীক্ষা কেন্দ্রের উল্লেখ রয়েছে, তাঁরা সেখানেই পরীক্ষা দেবেন। এই ধরনের প্রার্থীর সংখ্যা ১২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪০৫।
২০১৪ সালে যাঁরা টেটে বসার জন্য ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিয়েছিলেন, তাঁরা এ বার অনলাইনে ফর্ম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন বলে জানান পর্ষদ-সভাপতি। ১৬ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত www.wbresults.nic.in ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন তাঁরা। এই ধরনের প্রার্থীর সংখ্যা তিন লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৩৮।
এর পরে ২৪ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত ওই একই ওয়েবসাইট থেকে প্রার্থীরা অ্যাডমিট কার্ডের দু’টি প্রতিলিপি সংগ্রহ করতে পারবেন। পরে কোনও সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা কোনও গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে সেগুলি ‘অ্যাটেস্ট’ বা প্রত্যয়িত করাতে হবে। দু’টি প্রতিলিপির একটি পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। মানিকবাবু জানান, অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় কোনও নথি যাচাই করার সুযোগ থাকছে না। সেই জন্যই এগুলি প্রত্যয়িত করার প্রয়োজন।
নতুন যে-সব প্রার্থী ওই নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে চান, তাঁরা কী ভাবে আবেদন করবেন, পর্ষদ এ দিন তা জানায়নি। সভাপতির ঘোষণা, আগামী জুলাইয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রার্থী যে-জেলাতেই টেটে বসুন না কেন, তিনি যেখানে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন, ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁকে সেই জেলায় যেতে হবে।
পর্ষদ সূত্রের খবর, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এ বার যে-সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী তার বৈধতা সর্বাধিক সাত বছর। তবে এ রাজ্যে তার বৈধতা সাত বছরই থাকবে, নাকি তার চেয়ে কম হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার নামও টেট। সেই টেট ৩০ অগস্ট নেওয়া হবে বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) ইতিমধ্যে নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিয়েছে। http://www.westbengalssc.com ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে অনলাইনেই তা পূরণ করা যাবে। ২০১৩ সালের প্রার্থীদের ফর্ম পূরণ করতে টাকা লাগবে না। তাঁদের ফর্ম পূরণ করতে হবে ৩০ জুনের মধ্যে। নতুন প্রার্থীরা ১৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। আর টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩ জুলাই।