নির্মলা সীতারামনকে চিঠি অমিত মিত্রের
শেষ বার বৈঠক হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে। তার পর থেকে আর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়নি। এ বার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কড়া চিঠি লিখলেন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ওই চিঠিতে তিনি কেন্দ্রকে দ্রুত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই ওই চিঠি তিনি পাঠিয়েছেন নির্মলাকে।
অমিতের দাবি, নিয়মমাফিক তিন মাস অন্তর জিএসটি কাউন্সিলের একটি করে বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু, গত বছর থেকে এখনও পর্যন্ত দু’বার এই নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে। চিঠিতে বাংলার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০-র ৫ অক্টোবর শেষ এই বৈঠক হয়েছিল। তার পর থেকেই এখনও পর্যন্ত জিএসটি কাউন্সিলের কোনও বৈঠক হয়নি। এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলেই চিঠিতে দাবি করেছেন অমিত। অবিলম্বে জিএসটি কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছেন তিনি।
কোভিডের কারণে দেশ জুড়ে চলা গত বছরের লকডাউনে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে বলেই অর্থনীতিবিদদের একাংশের মত। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিও আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অমিত তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সংবিধানের ২৭৯এ এবং ২৭৯এ (৮) অনুচ্ছেদ মেনেই এই বৈঠক ডাকা উচিত। পাশাপাশি, ‘প্রসিডিওর অ্যান্ড কনডাক্ট অব রেগুলেশন অব দ্য গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স কাউন্সিল’-এর ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা মেনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে জিএসটি কাউন্সিল পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অমিত লিখেছেন, ‘‘তিন মাস অন্তর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক না ডাকা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত করার সমান, এ ব্যাপারে আপনিও নিশ্চয়ই সহমত!’’
বৈঠকে কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত, তারও পরামর্শ দিয়েছেন বাংলার অর্থমন্ত্রী। চিঠির শেষাংশে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্যগুলির উদ্বেগজনক আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত। অমিত আরও লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড সংক্রমণের সময় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার আর্থিক ঘাটতির অনুমান করেছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই ঘাটতির পরিমান আরও বেড়ে গিয়েছে। অমিত তাঁর চিঠিতে বিষয়টিকে ‘অতি উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। সে কারণেই নির্মলাকে এমন কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মোকাবিলায় দ্রুত জিএসটি কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছেন অমিত।