ফাইল চিত্র।
কাঁথির পুর-ভবন থেকে ত্রিপল চুরির মামলায় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর আপাতত খারিজ করল না কলকাতা হাই কোর্ট। একই সঙ্গে শুভেন্দুদের দুই আইনজীবী যে অন্তবর্তিকালীন স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়েছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
সোমবার বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানি হলে শুভেন্দুর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী পি এস পটওয়ালিয়া এবং সৌমেন্দুর হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী শেখর ঘোষ। শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেল রাজ্যের বিরোধী দলে যোগ দিয়েছেন এবং ভোটে জিতে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হয়েছেন বলেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ ভাবে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এফআইআরটির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জানান, তিনি মামলার কেস ডায়েরি এবং তদন্তকারী সংস্থার সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণ না দেখে কোনও নির্দেশ দেবেন না। এজলাসে উপস্থিত সরকারি কৌঁসুলি (পাবলিক প্রসিকিউটর) শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে পরবর্তী শুনানির দিন মামলার কেস ডায়েরি পেশ করতেও নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ২২ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। আমরা আদালতের নির্দেশ মতোই পদক্ষেপ করব।’’
গত ২৯ মে কাঁথি পুরসভার ডরমেটরির একটি ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকার ত্রিপল লুটের অভিযোগ ওঠে। সিআরপি-র কয়েক জন জওয়ানের উপস্থিতিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে গত ১ জুন কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান পুর প্রশাসক মণ্ডলীর এক সদস্য। তার ভিত্তিতেই লুট, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে কাঁথি থানার পুলিশ। শুভেন্দু ও সৌমেন্দু ছাড়াও অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে শুভেন্দুর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক হিমাংশু মান্না এবং পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারী প্রতাপ দে-র। প্রতাপকে গ্রেফতারও
করেছে পুলিশ।
শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁদের বাবা, সাংসদ শিশির অধিকারী এ দিনও অভিযোগ করেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণেই মিথ্যা মামলায় ছেলেদের ফাঁসানো হয়েছে।’’ জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর, রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি পাল্টা বলছেন, ‘‘সব নথি প্রশাসনের হাতে রয়েছে। তাই তো হাই কোর্ট অভিযুক্ত পক্ষের দাবি মানেনি।’’