শিক্ষকদের বেতন নিয়ে হলফনামা চায় কোর্ট

এই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার ও পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৭ ০৮:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

ন্যূনতম যে-যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল, নিয়োগের সময়ে তাঁদের সেটা ছিল। পরে যখন যোগ্যতাসীমা বাড়ানো হল, তাঁরাও বাড়িয়ে নেন নিজেদের যোগ্যতা। সেই সঙ্গে নেন প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও কয়েক জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত বেতনহার দেওয়া হচ্ছে না। কেন দেওয়া হচ্ছে না?

Advertisement

এই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার ও পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে হবে।

আবেদনকারীদের আইনজীবী পার্থসারথি দেববর্মণ জানান, বেলা সাহা-সহ কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের সেই সময়কার নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল মাধ্যমিক। পরে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনসিটিই) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেতে গেলে ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হতেই হবে। থাকতে হবে দু’বছরের শিক্ষণ প্রশিক্ষণ। ২০১২-য় রাজ্য এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। পার্থসারথিবাবু জানান, তাঁর মক্কেলরা নিয়ম মেনে যোগ্যতা বাড়িয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী কালে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত ৯৩০০-৩৪৮০০ টাকা বেতনহার তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। এ দিনই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। পাঁচ সপ্তাহ পরে আবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement