রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
এই মুহূর্তে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কি অবস্থা এবং তা মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার সবিস্তার রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। সুরজিৎ সাহা নামে হাওড়ার এক বাসিন্দার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিয়েছে।
সুরজিৎ আদালতে তাঁর করা আবেদনে জানিয়েছিলেন, কী করে রাজ্যের প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন যে, তিনি কেন্দ্রের আইন মানবেন না? সেই সঙ্গে আদালতের কাছে তিনি প্রশ্ন করেন, সাম্প্রতিক হিংসায় রেল মন্ত্রক এবং পরিবহণ দফতরের বিভিন্ন সম্পত্তির যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? একই সঙ্গে তিনি আদালতে আবেদন জানান, রাজ্যের সকল জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে আদালত নির্দেশ দিক অশান্তি রুখতে পদক্ষেপ করতে।
সোমবার ওই মামলার শুনানির সময় সরকার পক্ষ এবং মামলাকারীর আইনজীবী স্মরজিৎ রায়চৌধুরীর সওয়াল-জবাব শুনে আদালত বুধবারের মধ্যে রাজ্যকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সবিস্তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যকে জানাতে হবে, অশান্তি রুখতে তাঁরা কী কী পদক্ষেপ করেছেন।
আরও পড়ুন: অশান্তি ঠেকাতে আংশিক বন্ধ ইন্টারনেট, উস্কানির অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
টানা চার দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করে জাতীয় সড়ক অবরোধ, রেল অবরোধের ঘটনা ঘটছে। এ দিনও শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় দফায় দফায় অবরোধে বিপর্যস্ত হয় ট্রেন পরিষেবা। রবিবার আকড়া স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেওয়ায়সিগন্যাল এবং কন্ট্রোল প্যানেল ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনও বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারেনি রেল। একই ভাবে রেল পথে উত্তরবঙ্গ এখনও বিচ্ছিন্ন দক্ষিণবঙ্গ থেকে। তার মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে এ দিন হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: বাসে আগুন ধরাচ্ছে পুলিশ? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে