২০১৪ সালের টেটে ১১টি প্রশ্নের মধ্যে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঠিক করে রাখা সাতটি উত্তর ভুল ছিল বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। —ফাইল চিত্র।
চার বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টিচার এবিলিটি টেস্ট বা টেট)-য় ভুল উত্তরের ফাঁদে পড়া কিছু প্রার্থীর নিয়োগের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। ২০১৪ সালের টেটে ১১টি প্রশ্নের মধ্যে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঠিক করে রাখা সাতটি উত্তর ভুল ছিল বলে বুধবার জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাদের নির্দেশ, ওই সব প্রশ্নের জন্য নম্বর পেয়ে যে-সব প্রার্থী যোগ্যতামানে পৌঁছতে পারবেন, তাঁদের শিক্ষকপদে অবশ্যই নিয়োগ করতে হবে।
পর্ষদের নির্ধারিত উত্তরগুলি ঠিক নয় বলে অভিযোগ তুলে গত বছর হাইকোর্টে মামলা করেন বেশ কিছু প্রার্থী। তাঁদের অন্যতম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এক্রামুল বারি জানান, ঠিক উত্তর জানতে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এ দিন কমিটির রিপোর্ট দেখে বিচারপতি পর্ষদের সচিবকে নির্দেশ দেন, যে-সব উত্তর সঠিক বলে কমিটি জানিয়েছে, মামলার আবেদনকারী প্রার্থীরা সেই সব উত্তর লিখে থাকলে তাঁদের পুরো নম্বরই দিতে হবে।
ওই আইনজীবীরা জানান, বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নম্বর পাওয়ার পরে ওই সব প্রার্থী পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার যোগ্য হলে তিন মাসের মধ্যে তাঁদের প্রাথমিক শিক্ষকপদে নিয়োগ করতে হবে।
মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় ও সন্দীপ দাশগুপ্ত জানান, কমিটির রিপোর্ট দেখে বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় এ দিন জানান, ১১টি প্রশ্নেরই পর্ষদ নির্ধারিত উত্তর দেওয়া ছিল। তার মধ্যে একটি প্রশ্নের বিকল্প সব উত্তরই ভুল। ছ’টি প্রশ্নের চারটি বিকল্প উত্তরের মধ্যে যেটি ঠিক বলে পর্ষদ জানিয়েছিল, সেটি ঠিক নয়। বাকি তিনটি বিকল্প উত্তরের মধ্যে একটি ঠিক। সেই উত্তরটি মামলার আবেদনকারীরা লিখে থাকলে তবেই তাঁরা পুরো নম্বর পাবেন। যে-প্রশ্নের উত্তর পুরোপুরি ভুল, তার জন্যও পর্ষদকে পুরো নম্বর দিতে হবে আবেদনকারীদের।