ন্যূনতম বেতন দিতে হবে অস্থায়ী শিক্ষকদের

মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী অর্জুন রায়চৌধুরী ও সৌমেন দত্ত জানান, ২০০৮ সালে রাজ্যের বিভিন্ন সরকার অনুমোদিত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ৯০০ অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০২:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

সম কাজে সম বেতন চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের অস্থায়ী কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা। সরকার সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছেন, ওই অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ন্যূনতম ‘বেসিক পে’ বা মূল বেতন দিতে হবে।

Advertisement

মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী অর্জুন রায়চৌধুরী ও সৌমেন দত্ত জানান, ২০০৮ সালে রাজ্যের বিভিন্ন সরকার অনুমোদিত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ৯০০ অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় তাঁদের মাসিক বেতন ছিল ছ’হাজার টাকা। পরে তা বেড়ে ১০ হাজার টাকা হয়। কয়েক বছর কাজ করার পরে কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা রাজ্যের শিক্ষা দফতরে আবেদন জানান, স্থায়ী শিক্ষকদের মতোই কাজ করতে হয় তাঁদের। স্থায়ী কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা প্রতিদিন যত ক্লাস নেন, তাঁদেরও তত ক্লাস নিতে হয়। সেই জন্য স্থায়ী শিক্ষকেরা যে-হারে বেতন পান, সেই হারে তাঁদেরও বেতন দেওয়া হোক।

আইনজীবীরা জানান, শিক্ষা দফতর সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারা ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলার আবেদনে বলা হয়, স্কুল-পিছু শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত যা থাকা উচিত, রাজ্যের সব স্কুলে তা নেই। যে-সব স্কুলে ছাত্রছাত্রীর অনুপাতে স্থায়ী শিক্ষকের সংখ্যা কম, সেই সব স্কুলে অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেক বেশি ক্লাস নিতে হয়। কাজেই স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমান হারে তাঁদের বেতন পাওয়া উচিত। মামলার শুনানিতে ওই আইনজীবীরা ২০১৭ সালের সুপ্রিম কোর্টের কয়েকটি রায় পেশ করে দেখান, শীর্ষ আদালতও সম কাজে সম বেতন দিতে বলেছে।

Advertisement

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement