post office

Group-D: এসএসসি: তদন্তাদেশ এ বার ডাক বিভাগকে

বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের কৌঁসুলিরা জানান, বিতর্কিত ভাবে নিযুক্ত ২৫ জনকে মামলায় যুক্ত করতে বলেছিল আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৩০
Share:

ফাইল চিত্র।

কারও কারও বাড়ি নাকি তালাবন্ধ। অনেকের ঠিকানায় ত্রুটি। আবার ‘গ্রুপ-ডি’ বা চতুর্থ শ্রেণির কিছু স্কুলকর্মী আদালতের নোটিসই নাকি নিতে নারাজ। নানান জটিলতার পরে আবার এই বিচিত্র জটে জড়িয়ে গিয়েছে গ্রুপ-ডি স্কুলকর্মী নিয়োগের মামলা। এই অবস্থায় মেয়াদ ফুরোনো প্যানেল থেকে বেশ কিছু প্রার্থীকে বেআইনি ভাবে বিভিন্ন স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর পদে নিয়োগের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় এ বার ডাক বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন এবং দ্রুত সেই তদন্তের রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের কৌঁসুলিরা জানান, বিতর্কিত ভাবে নিযুক্ত ২৫ জনকে মামলায় যুক্ত করতে বলেছিল আদালত। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ১১ জনের ঠিকানায় ত্রুটি রয়েছে বলে জানিয়েছে ডাক বিভাগ। এক জন আদালতের নোটিস নিতে অস্বীকার করেছেন। তার পরেই ডাক বিভাগকে ঠিকানায় ত্রুটির অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর, শুক্রবার।

এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই মামলায় জটিলতা অবশ্য নতুন নয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেও হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করে দিয়েছে। মামলার গোড়াতেই ২৫ জনকে বিতর্কিত ভাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেয় আদালত। এই মামলায় মূল অভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ ২০১৯ সালের মে মাসে ফুরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পরে সেই তালিকা থেকে কিছু প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে, যা বেআইনি। স্কুল সার্ভিস কমিশন ওই সব প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করেনি বলে আদালতে জানায়। কিন্তু মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, তারা ওই সব প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিয়েছিল এসএসসি-র সুপারিশের ভিত্তিতেই।

Advertisement

প্রথমে অভিযোগ ওঠে, ২৫ জন প্রার্থীকে নিয়ম ভেঙে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই বিষয়ে এ দিন মামলার আবেদনকারীদের কৌঁসুলিরা জানান, ১২ জনের কাছে মামলার চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। অন্য ১১ জনের ক্ষেত্রে প্রথম দিন ডাক বিভাগ জানিয়েছিল, পিয়ন প্রাপকের বাড়ি গিয়ে দেখেন, সেখানে তালা ঝুলছে। পরের দিনেও কোর্টের নোটিস-সহ চিঠি দিতে না-পেরে ডাক বিভাগ জানায়, ঠিকানা ত্রুটিপূর্ণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement