Tet Case in Calcutta High Court

মানিক ‘ছক কষেই দুর্নীতি করেছেন’, প্রাথমিকের নতুন মামলায় সিবিআই, ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ

মঙ্গলবার হাই কোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ বিষয়ে নতুন একটি মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৬:০০
Share:
Calcutta High court Justice Abhijit Ganguly asked to add ED and CBI in new case of Primaru recruitment.

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের নতুন মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, অবিলম্বে দুই সংস্থাকে মামলায় যুক্ত করতে হবে। এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের আইনজীবীদের আদালতে হাজির হতে হবে। বিকেল সাড়ে চারটের পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার হাই কোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ বিষয়ে নতুন একটি মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলাটি ওঠে। মামলাকারী সুকান্ত প্রামাণিকের তরফে আইনজীবী ছিলেন দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়।

এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ছক কষে দুর্নীতি (ডিজাইনড্‌ কোরাপশন) করেছেন। হাই কোর্টের নির্দেশে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে আগেই অপসারণ করা হয়েছিল মানিককে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন।

Advertisement

প্রাথমিকে নিয়োগেরই অন্য একটি মামলায় মানিকের কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই হলফনামা বিচারপতির এজলাসে জমা দিতে আসেন মানিকের কন্যা স্বাতী ভট্টাচার্য। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে হলফনামাটি জমা নেননি বিচারপতি। পরিবর্তে প্রেসিডেন্সি কারা কর্তৃপক্ষকে তাঁর নির্দেশ, মানিক যাতে জেল থেকেই হলফনামা দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

মানিক পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন প্রাথমিকের অনেক চাকরি টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কোনও নিয়োগেই যোগ্য প্রার্থীরা সুযোগ পাননি। মানা হয়নি নিয়ম। এই সংক্রান্ত মামলায় এর আগেও একাধিক বার প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একটি রায়ে তিনি জানিয়েছিলেন, দালালের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। মানিকের পাশাপাশি বিচারপতি ভর্ৎসনা করেছেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement